CV Ananda Bose

মুক্তচিন্তার রাজ্যে রাজ্যপাল আনন্দের আস্থা যুবশক্তিতেই, বিশ্বাস, তারা সব পারে

বৃহস্পতিবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকম-এর আসরে ‘পরিবর্তনের কাণ্ডারি’দের নিয়ে বললেন রাজ্যপাল। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের পরেই ইনফোকমে আসেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:২৭
Share:

ইনফোকমের মঞ্চে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিজস্ব চিত্র

তাঁর ভরসা বাংলার যুবশক্তিতে। বিশ্বাস, তারা সব পারে। তারাই নেতৃত্ব দেবে আগামিদিনে। রাজ্যপাল হিসেবে প্রথম দিনের প্রকাশ্য বক্তৃতায় মুক্তকণ্ঠে সেই আস্থা উজাড় করে দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকম-এর আসরে ‘পরিবর্তনের কাণ্ডারি’দের নিয়ে বললেন রাজ্যপাল। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের পরেই ইনফোকমে আসেন তিনি।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, এ দিনই দেশে কয়েকটি শহরে ডিজিটাল মুদ্রা (ই-রুপি) চালুর প্রকল্প পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। একই দিনে এবিপি গোষ্ঠীর ইনফোকম আসরের সূচনার মধ্যে এক ঐতিহাসিক তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছেন রাজ্যপাল।

স্বভাবসিদ্ধ সরস বাকশৈলীতে এবিপি গোষ্ঠীর সময়োপযোগী বৃহৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বোস বলেছেন, ‘‘১০০ বছরের এই প্রতিষ্ঠানে এসে নিজেকে শিশুর মতো লাগছে। ওঁদের সাফল্যকে বুঝতে হবে। সাংবাদিকদের আজকেই বুঝতে হয়, আগামিকাল দেশের সব থেকে বড় খবর কী হতে চলেছে। এবিপি-র এই অনুষ্ঠান কাল বা পরশু না-হয়ে আজ কেন হচ্ছে? আমি বিশ্বাস করি, এটাই সাংবাদিক সুলভ আঁচ করার ক্ষমতা বা প্রখর ঘ্রাণশক্তি। আজই দেশের ডিজিটাল রুপি প্রকল্প চালুর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি হাজির। এটা বোঝেন বলেই ওঁরা এবিপি।’’

Advertisement

ডিজিটাল পরিসরে সার্বভৌমত্ব এবং বিশ্বনেতৃত্বের হক ছিনিয়ে নেওয়াই এখন বাংলা তথা ভারতের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার কাছে কিছুই অসম্ভব নয়। এ হল রবীন্দ্রনাথের ভয়শূন্য চিত্ত, উচ্চ শির এবং মুক্ত জ্ঞানের ভূমি। বাংলার অতীত গৌরব মনীষীদের। কিন্তু ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। তারাই নেতৃত্ব দেবে।’’

অবসরপ্রাপ্ত আইএএস বোসের কথায়, ‘‘তরুণদের নেতৃত্বেই বাংলা ও ভারত সুপ্তি ভেঙে দৈত্যের মতো এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বুড়োরা অবসর নেব। কিন্তু বাংলা আমায় নতুন বন্ধনে জড়িয়েছে।’’ শব্দের সুরসিক প্রয়োগে সভার শ্রোতাদের বার বার মাত করলেও বক্তৃতা খামোখা টেনে লম্বা করায় তাঁর আপত্তির কথাও অবশ্য শুনিয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। মজার গল্প শুনিয়ে বলেছেন, ‘‘বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত মিনিট পাঁচেকের হওয়া ভাল। প্রাচীন গ্রিসের গণতন্ত্রে সব নাগরিকই প্রকাশ্যে কাঠের মঞ্চে উঠে মতপ্রকাশে শামিল হতো। কিন্তু তাঁদের গলায় ফাঁসির দড়িও আটকে থাকত। সাধারণ মানুষ ওই কথা খারিজ করে দিলেই পায়ের নীচ থেকে কাঠের পাটাতন সরিয়ে দেওয়া হতো। পরের বার বরং শুধু শোনার জন্য আমাকে ডাকবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement