Andal Airport

বিমাননগরীতে বাড়ল সরকারের অংশীদারি

কেন রাজ্যকে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫২
Share:

অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর।—ছবি সংগৃহীত।

অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমাননগরী পরিচালনার দায়িত্বে রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও বাড়ছে। রাজ্য ওই প্রকল্পে নিজেদের অংশীদারি বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৪৭.৪৩ শতাংশ করেছে। এর ফলে, বিমাননগরীর কাজকর্ম পরিচালনায় সুবিধা হবে বলে মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান।

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী দিনে হয়তো অণ্ডাল এয়ারপোর্ট দমদমের মতো হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দর থেকে আর্ন্তজাতিক উড়ান চালু হবে।’’ পাশাপাশি, তিনি জানান, তাঁদের সরকার ঝড়ের বেগে কুৎসা নয়, ঝড়ের বেগে উন্নয়ন করে।

অণ্ডাল বিমাননগরীর জন্য জমি অধিগ্রহণ হয় বাম আমলে। শুরুতে ওই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের অংশীদারি ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। ২০১৮-য় রাজ্য সরকার নতুন করে ২৭০ কোটি টাকা ঢেলে অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকার ফের লগ্নি করায় রাজ্যের শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৪৭.৪৩ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে, বিমাননগরী ও বিমানবন্দরের কাজকর্ম পরিচালনায় সুবিধা হবে। রাজ্য সরকারের কর্তৃত্ব ও প্রাধান্য বাড়বে।’’

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, জমির বদলে জমি প্রকল্পে বিমাননগরীর ৫৮২৪ জন জমিদাতার মধ্যে ১৫২৯ জনকে জমি দেওয়া হয়েছে। ৩৩ ডেসিমেলের চেয়ে কম জমি যাঁরা দিয়েছেন, তেমন ২১৫৩ জনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়।

কিন্তু কেন রাজ্যকে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হল? মুখ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, বিমাননগরীর কাজকর্ম যথাযথ ভাবে হচ্ছিল না। তাই রাজ্য যৌথ অংশীদারিত্বের পথে হেঁটেছে। কাজকর্ম পরিচালনার সুবিধার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং বিমাননগরী নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার (বিএপিএল) প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুখ্যসচিবকে।

পাশাপাশি, সরকারের একটি সূত্রের মতে, চাপ কমাতে দেশের সব বড় শহরেই দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু প্রায় চার বছর ধরে দমদমের বিকল্প বিমানবন্দর গড়ার জন্য জমির ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজ্য। সাধারণত, বর্তমান বিমানবন্দরের ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যে দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়া হয়। যাতে একটি বিমানবন্দরে নেমে দ্রুত দ্বিতীয় বিমানবন্দরে গিয়ে অন্য উড়ান ধরতে পারেন যাত্রীরা। রাজ্য সরকারের দাবি, অণ্ডাল বিমানবন্দরের পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেখানেই পুরো মাত্রায় দ্বিতীয় বিমানবন্দরটি তৈরি হোক। যদিও দমদম থেকে অণ্ডালের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় চার হাজার একর জমিও নেই। তা সত্ত্বেও অণ্ডালকেই দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়ার লিখিত প্রস্তাব কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে রাজ্য। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কার্যত সেটাই প্রকাশ্যে আনলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখন অণ্ডাল থেকে তিনটি রুটে সপ্তাহে মোট ন’টি উড়ান চলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement