Calcutta High Court

বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা জঘন্য অবস্থায়: আদালতে বিকাশ, সওয়াল শুনে অভিজিৎকে দোষারোপ রাজ্যের

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। —ফাইল চিত্র।

পাহাড়ে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলার শুনানিতে আদালতে ফের নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দুষল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অভিজিতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আদালতে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতির নিন্দা করেন আইনজীবী বিকাশ। সওয়ালে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা অত্যন্ত জঘন্য অবস্থায় পৌঁছেছে।’’ এর জবাবেই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা অভিজিতের প্রসঙ্গ টানেন কিশোর। তিনি বলেন, ‘‘কোনটা জঘন্য? রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা না কি এক জন বিচারপতি এবং তাঁর কার্যকলাপ?’’ রাজ্যের এজি আরও বলেন, ‘‘উনি নির্দিষ্ট কিছু মামলার ক্ষেত্রে উৎসাহী ছিলেন। সেটা তো এখন সবার কাছেই স্পষ্ট।’’ তবে আদালতে অভিজিতের নাম করেননি কিশোর।

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু’টি বেনামি চিঠির প্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অনুসন্ধানের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে আদালতে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। রাজ্যের তরফে সওয়ালে বলা হয়, যে দুই বেনামি চিঠির প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলির প্রেরকের ঠিকানা হিসাবে রয়েছে কেওড়াতলা মহাশ্মশান। ফলে ওই চিঠির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। সব পক্ষের মতামত শুনে এই মামলায় নির্দেশ মুলতুবি রাখে আদালত।

Advertisement

জিটিএ মামলাতেই কিছু দিন আগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ একাধিক নাম রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় নির্দেশ মুলতুবি রেখেছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement