পাহাড় শান্ত, তাই ফিরলেন ২ পুলিশকর্তা

গোলমাল শুরুর পরে গত জুন মাসে সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ও হুমায়ুন কবীরকে পাঠানো হয় দার্জিলিঙে। শুক্রবার তাঁদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দেখার পরে পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দুই শীর্ষ আইপিএস অফিসারকে কলকাতায় আনা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ে আপাতত অশান্তির আবহ নেই। কেয়ারটেকার বোর্ড কাজ করছে পুরোদমে। দিল্লিতে একবার প্রকাশ্যে এসে রাজ্যের প্রতি শান্তির বার্তাই দিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত এবং দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীরকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর।

Advertisement

গোলমাল শুরুর পরে গত জুন মাসে সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ও হুমায়ুন কবীরকে পাঠানো হয় দার্জিলিঙে। শুক্রবার তাঁদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দেখার পরে পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দুই শীর্ষ আইপিএস অফিসারকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। পুলিশের অন্দরের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক সফরের সময়ে এক শীর্ষ আইপিএস অফিসার নিজে থেকেই ফেরার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, পাহাড় এখন শান্ত। এখন কলকাতায় ফিরে গেলে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হবে না। সরকারি সূত্রের খবর, তখনই তাঁদের পর্যায়ক্রমে কলকাতায় ফেরানোর আশ্বাস দেন রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা।

বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপারাও এর মধ্যে নবান্নে বার্তা পাঠান, পাহাড়ের রাশ ধীরে ধীরে তাঁরা অনেকটাই ধরে নিয়েছেন। পর্যটন উৎসবের পরে এ বারে তাঁরা পাহাড়ে বিনিয়োগ টানতে ‘ইন্ডাস্ট্রি মিট’-ও করতে চলেছেন। বিনয়পন্থীদের বক্তব্য, উন্নয়ন শুরু হলে পাহাড়ের মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁদের আয়, জীবনযাত্রার মান বাড়বে। দীর্ঘ বন্‌ধ-আন্দোলনে যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার কিছুটা পূরণ করা সম্ভব হবে। এই অবস্থায় তাই ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের দিক পা বাড়ানোর সম্ভাবনা কম, মনে করছেন বিনয়পন্থীরা। বিনয় বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। সেটা নিশ্চিত করেই আমরা নিজেদের দাবি আদায়ের দিকে শান্তিপূর্ণ ভাবে এগোব।’’

Advertisement

দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে বিমলও সম্প্রতি দিল্লিতে প্রকাশ্যে এসেছেন। কিন্তু কোনও হুঙ্কার-হুঁশিয়ারি নয়, রাজ্যের প্রতি শান্তির বার্তাই দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পাহাড়ে তাঁর অনুগামীরাও মুখ বুজে আছেন। রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের বক্তব্য, তাই সিদ্ধিনাথ-হুমায়ুনকে কলকাতায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধিনাথকে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর করা হয়েছে। হুমায়ুন কবীরকে পশ্চিমবঙ্গ ট্রাফিকের ডিআইজি পদে বসানো হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের এডিজি তথা আইজি পদে কে বসবেন, তা শনিবার রাত অবধি চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য পুলিশের আইজি মনোজ বর্মা এখন দার্জিলিঙের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকেও উত্তরবঙ্গের আইজি পদে আনা হতে পারে, আলোচনা চলছে পুলিশমহলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement