‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী, অনার্স কোর্সের মেয়াদ হবে চার বছর। প্রতীকী ছবি।
এই রাজ্য থেকেই প্রবল বিরোধিতা হয়েছিল। তার পরও রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী স্নাতক স্তরের 'কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক' আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করতে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিল। শুক্রবার উচ্চশিক্ষা দফতরের সহ-সচিবের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসি থেকে ৩১ জানুয়ারি সব রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর পরে রাজ্যের এই নির্দেশ।
জাতীয় শিক্ষানীতি খতিয়ে দেখার জন্য এই রাজ্যে বিশেষ কমিটিও তৈরি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করবে। তবে সেই কমিটির রিপোর্ট সরকারি ভাবে এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে এমন নির্দেশে শিক্ষা মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।
'কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক' অনুযায়ী, অনার্স কোর্সের মেয়াদ হবে চার বছর। চার বছরের স্নাতকস্তরেই পড়ুয়ারা গবেষণা করতে পারবেন। এই চার বছরের কোর্সের মাঝ পথে ছেড়ে দিলেও আবার তা শুরু করার সুযোগ থাকবে। সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক তরুণকান্তি নস্করের বক্তব্য, জাতীয় শিক্ষানীতিতে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স ও মাল্টিপল এগজিট ও এন্ট্রির যে কথা বলা হয়েছিল, তা রাজ্য সরকার কার্যকর করার মাধ্যমে ওই জনবিরোধী শিক্ষানীতি চালু করা শুরু করল।
এর ফলে ডিগ্রি পেতে গেলে এক বছর বেশি পড়তে হবে, তাতে ড্রপ আউট বাড়বে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সনাতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ পেলাম না!’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, এই রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষাবিদরা বারবার জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু এই ধরনের নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকার বুঝিয়ে দিল, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাদের ফারাক নেই।