মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
জল জীবন মিশনে কেন্দ্রেরই কিছু সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। শুক্রবার সেই ছ’টি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সূত্রের দাবি, রাজ্য দ্রুত সহযোগিতার দাবি তুলেছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল, ডিভিসি, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, আইডব্লিউএআই এবং আইওসিএল-এর কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রকল্পে নলবাহিত পরিশ্রুতি পানীয় জল গ্রামীণ প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার কথা। অথচ এই সংস্থাগুলির জমির উপর দিয়ে নল নিয়ে যেতে অনুমতি লাগে। প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনুমতি পদ্ধতিটি বেশ লম্বা। ফলে কাজে দেরি হচ্ছে। তাই সংস্থাগুলি যাতে দ্রুত এমন অনুরোধের মীমাংসা করে, সেই আর্জিই জানিয়েছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার ফের জলজীবন মিশনের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠককরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।ত্রুটিপূর্ণ প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট (ডিপিআর), পাইপ পাতা হলেও জল না পৌঁছনো, পাইপ কেটে প্রকল্পের জল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবস্থা ইত্যাদি অভিযোগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি চালু করেছিল কেন্দ্র। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরই। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, আরও অনেকগুলি রাজ্যে প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। এ রাজ্যে আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য ধার্যকরেছে নবান্ন।