ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে করোনার সম্ভাব্য টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। কোভিড-১৯ টিকার দৌড়ে ভারতও খুব পিছিয়ে নেই। যদিও কবে থেকে কোন টিকা দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এরমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চিকিৎসকদের কাছে সেই মর্মে বার্তাও যেতে শুরু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তাঁদের কাছে যথাসময়ে পৌঁছে যাবে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনার টিকা দেওয়া হতে পারে বলে চিকিৎসকমহল সূত্রের খবর। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতাও নজরে পড়ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ওই বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে, করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যও সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। কী ভাবে টিকা দিতে হবে, তা হাতেকলমে শেখাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও শুরু হতে চলেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশিই যাঁরা করোনা যুদ্ধে প্রথমসারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন এবং এখনও করছেন, তাঁদের সকলের আগে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন ডাক্তার-নার্স থেকে শুরু করে অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। যেমন এক চিকিৎসকের ফোনে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় একজন কোভিডযোদ্ধা হিসাবে আপনি যেভাবে রোগীদের পাশে থেকে তাঁদের সেবা করেছেন, তাকে সম্মান জানিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে’। সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রত্যাশিত ভাবেই খুশি চিকিৎসকেরা। তবে পাশাপাশিই তাঁদের দাবি, শুধু স্বাস্থ্যকর্মীই নয়, সকলকেই করোনার টিকা দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। তা হলেই সমাজ সামগ্রিক ভাবে করোনা-মুক্ত হবে।
চিকিৎসকদের মোবাইলে পাঠানো বার্তা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় নয়া স্ট্রেন, আক্রান্ত ব্রিটেনফেরত স্বাস্থ্যকর্তার ছেলে
আরও পড়ুন: এবার বিজেপি-তে যাচ্ছেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা সুজিত
ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ি ওই বার্তা পেয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের বার্তা আমার মোবাইলে এসেছে। এই সিদ্ধান্তে আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে শুধু চিকিৎসকদেরই নয়, সমস্ত নাগরিক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ থেকে শুরু করে, সাফাইকর্মী এমনকি অ্যাম্বুল্যান্স চালক-সহ সকলকে অবিলম্বে বিনামূল্যে যেন এই সুবিধা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, যাঁদের ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা যাতে ভ্যাকসিন কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও থাকা উচিত।’’