—প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন প্রকল্পে বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রের বরাদ্দ। তা নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ বিস্তর। যদিও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় এখনও বরাদ্দ অবাধথেকে গেল। ওই কমিশনের থেকে চলতি বছরের প্রথম কিস্তিতে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য সরকার। সাধারণত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মধ্যে ওই অর্থ দু’ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, টায়েড (নির্দিষ্ট কিছু কাজে) এবং আন-টায়েড (নির্ধারিত নয় এমন কাজে) খাতে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। সেই টাকাই চলে এল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তি হিসাবে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতে অর্থ কমিশনের পাওয়া বরাদ্দের অনেকটা অংশ অব্যবহৃতও থেকে গিয়েছে। তাও খরচ করা জরুরি।
অর্থ কমিশন যে অর্থ ভাগ করে দিয়েছে, তাতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সম্মিলিত ভাবে টায়েড খাতে প্রায় ৬৯২.৬৬ কোটি এবং আনটায়েড খাতে প্রায় ৪৪৮.৩৬ কোটি টাকা পাচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতিগুলি টায়েড খাতে পাচ্ছে প্রায় ১৫০ কোটি এবং আনটায়েড খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রতিটি জেলা পরিষদ সম্মিলিত ভাবে টায়েড খাতে প্রায় ১৫৩ কোটি এবং আনটায়েড খাতে প্রায় ১০২ কোটি টাকা পেতে চলেছে।
পঞ্চায়েত ভোটের পরে এখন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, টাকা খরচ করার পদ্ধতি, প্রকল্প রূপায়ন এবং তার পরিকল্পনা তৈরি, টেন্ডার-পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পেশাদার ম্যানেজমেন্ট সংস্থা দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। একশো দিনের কাজ, বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের যে কার্যত ধারাবাহিক অনুসন্ধান চলছে, সে দিক থেকেও যথাযথ ভাবে খরচের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
অর্থ কমিশনের বরাদ্দের ৬০% নির্ধারিত (টায়েড) খাতে পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো কাজ হয়। বাকি অর্থে (অনির্ধারিত খাত) রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি-মেরামত, আলো, শ্মশান-কবরস্থান, ওয়াই-ফাই পরিষেবা ইত্যাদি হতে পারে।