ভোটের মুখ হওয়ার পথে জিজা

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাদের ‘সুগম নির্বাচন’ থিম অনুযায়ী বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

জিজা ঘোষ

এভারেস্টজয়ী বাচেন্দ্রী পাল। গায়ক জুবিন গর্গ। অভিনেত্রী নিশিতা গোস্বামী। ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আঞ্চলিক মুখেদের কাজে লাগানো হয়েছে আগেই। এ বার সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত জিজা ঘোষকে পশ্চিমবঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে চলেছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই জিজার নামে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়তে পারে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাদের ‘সুগম নির্বাচন’ থিম অনুযায়ী বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেরিব্রাল পলসি আক্রান্তকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার উদ্যোগ নজিরবিহীন বললেই চলে।

শনিবার আনন্দবাজারকে জিজা বলেছেন, ‘‘আমি খুবই খুশি। আশা করব এবং চেষ্টা করব, যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে তা ঠিক মতো পালন করার।’’ সেরিব্রাল পলসির সঙ্গে লড়াই করতে করতেই প্রায় দু’দশক ধরে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জিজা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মহিলাদের নিয়ে কাজ করেন তিনি। পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার পুরস্কার। ভোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জিজার সঙ্গে কথাও হয়েছে সিইও-র দফতরের আধিকারিকদের।

Advertisement

এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিষয়টি খুব ভাল। জিজা এর যোগ্য।’’ জিজার নামে সিলমোহর চেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছে সিইও-র দফতর। অনুমোদন আসার পরে তিনি হয়ে উঠবেন রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়ার মুখ। জিজার মুখে শোনা যাবে ভোট সংক্রান্ত বার্তা— কী ভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে কিংবা ভোটকর্মী কী ভাবে বাড়ি এসে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সাহায্য করবেন। ভোটার তালিকার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের নাম নথিভুক্তির জন্য ব্লাইন্ড স্কুল ও সেরিব্রাল পলসি ইনস্টিটিউটে যাচ্ছেন সিইও-র দফতরের কর্তারা।

কর্তাদের মতে, জিজা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের বার্তা দিলে, তার আলাদা তাৎপর্য থাকবে। তাই তাঁরাও ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আগ্রহী হবেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছে সিইও দফতর। মিনিট পনেরোর ওই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যম, ইউটিউবে ব্যবহার করা হবে। টোল-ফ্রি একটি নম্বরও (১৯৫০) থাকছে। সেখানে ফোন করলে বাড়ি পৌঁছে তালিকায় নাম তুলতে সাহায্য করবেন ভোটকর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement