কলকাতা এবং অন্য ৯১টি পুরসভার নির্বাচন পর্ব মিটতে না-মিটতেই অন্য সাতটি পুরসভার ভোট নিয়ে আদালতের নির্দেশ রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ওই সাত পুরসভার নির্বাচনের জন্য আরও কিছু সময় চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে সরকার।
ওই ডিভিশন বেঞ্চই নির্দেশ দিয়েছে, ১৬ জুনের মধ্যে বিধাননগর, আসানসোল-সহ ওই সাত পুরসভার ভোট করতে হবে। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে সরকার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চলেছে বলে সোমবার জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তখনই ভোটের জন্য আরও কিছুটা সময় চাওয়া হবে।
সাত পুরসভা হল বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর, জামুড়িয়া, কুলটি, আসানসোল, রানিগঞ্জ এবং বালি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, আসানসোল পুর নিগম এবং কুলটি পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ। রাজারহাট-গোপালপুর, বিধাননগর পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে জুনে। বালিরও তা-ই। সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করেই ওই সাত পুরসভার ভোটের বিষয়টি আটকে আছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। পুরমন্ত্রী জানান, সরকার আসানসোল কর্পোরেশন বা পুর নিগমের সঙ্গে কুলটি, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া পুরসভাকে মিলিয়ে দিতে চায়। বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভাকে একসঙ্গে জুড়ে নতুন একটি পুর নিগম গড়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। আর হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে বালি পুরসভাকে জুড়ে নতুন চেহারার অন্য একটি পুর নিগম গড়ার কথা।
ওই সব সংযুক্তি নিয়ে সরকারের প্রস্তাব রাজ্যপাল অনুমোদন করেছেন বলে পুরমন্ত্রীর দাবি। হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানাবে, ওই সাতটি পুরসভার নির্বাচনের জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। আসানসোল ও নতুন করে গঠিত বিধাননগর পুর নিগমের নির্বাচন একসঙ্গে করতে চাইছে রাজ্য। সরকারের ইচ্ছে, বালি পুরসভার পুনর্বিন্যাসের পরে সেখানে নতুন করে গঠিত ওয়ার্ডগুলিতে ভোট হোক। তার পরে সেগুলিকে যুক্ত করা হোক হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে।
পুরমন্ত্রী জানান, বালি পুরসভাকে হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে যুক্ত করতে হলে ওই পুরসভায় নতুন করে সীমানা বিন্যাস করতে হবে। বালি পুরসভায় এখন ৩৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে ভোটার গড়ে দু’হাজার। কিন্তু রাজ্য চায়, হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে সংযুক্তির সময় ওয়ার্ড-প্রতি ভোটার সংখ্যা অন্তত ২০ হাজার হোক।