মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে কোনও ধরনের নথি সংশোধন করতে গেলে খরচ করতে হবে ১০০০ টাকা করে। — ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নথিতে নিজের নাম, বয়স, অভিভাবকের নাম ইত্যাদি তথ্য সংশোধন করতে গেলে এখন থেকে বাড়তি টাকা খরচ হবে। শুক্রবার ২০ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পর্ষদের ২০তম অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সিদ্ধান্তে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে কোনও ধরনের নথি সংশোধন করতে গেলে খরচ করতে হবে ১০০০ টাকা করে। প্রায় ১৩ বছর পর নথি সংশোধনের খরচ বাড়ানো হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
শুধু মাত্র যে বর্তমান পরীক্ষার্থী বা সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন এই নিয়ম করা হয়েছে, এমন নয়। প্রয়োজনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে মাধ্যমিক পাশ করা যে কোনও বয়সের ব্যক্তি তাঁদের নামধামের পাশাপাশি অভিভাবকদের নাম সংশোধন করতে পারবেন। নথি সংশোধন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজের জন্ম শংসাপত্র দেখাতে হবে। সঙ্গে আনতে হবে স্কুলে ভর্তি হওয়ার রেজিস্ট্রেশনের কপি। যদি কোনও আবেদনকারী ব্যক্তির সরকারি জন্ম শংসাপত্র না থাকে, তবে তাঁকে কোনও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে হলফনামা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
১৮৮৯ সালের আগে জন্মানো কোনও ব্যক্তি যদি নথি সংশোধনের আবেদন করতে চান, কোনও কারণবশত যদি আবেদনকারী ব্যক্তির জন্মের শংসাপত্র না থাকে, তা হলেও ওই ব্যক্তিকে কোনও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর করা হলফনামা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে, সঙ্গে দিতে হবে স্কুলে ভর্তি হওয়ার রেজিট্রেশনের কপি। কোনও ব্যক্তি যদি সরকারি চাকুরে হন, তা হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর করা হলফনামার সঙ্গে নিজের কাজ সংক্রান্ত তথ্যও জানাতে হবে।
এর আগে পর্ষদের নথিতে ছাত্রছাত্রীদের নাম, পদবী, অভিভাবকদের নাম সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে ৫০ টাকা খরচ করতে হত। পঞ্চম-দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের তথ্য সংশোধনের জন্য জন্য দিতে হত ১০০ টাকা। মাধ্যমিক দেওয়ার তিন বছরের মধ্যে বয়স সংশোধন করতে আবেদনের জন্য খরচ করতে হত ৩০০ টাকা করে। তার বেশি হলে দিতে হত ৬০০ টাকা করে। এ বার সেই খরচই এক ধাক্কায় বেড়ে ১০০০ টাকা করা হল।