বুধবার সকালে হুগলির চুঁচুড়ায় নড্ডা। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য বিজেপি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চলছে। জেপি নড্ডার উপস্থিতিতে হতে চলা কর্মসমিতি বৈঠকের রাজনৈতিক প্রস্তাবে এমন কথা থাকতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই সূত্রটির দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের পরে এক বছর পার হয়ে গেলেও অনেক কর্মীই ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন বলে দলের যে অভিযোগ, সে কথাও রয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। একই সঙ্গে দল এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কর্মীদের পাশে যে দাঁড়াতে পারেনি বা চেষ্টা করলেও সফল হয়নি, তারও উল্লেখ রয়েছে।
বিজেপির সংবিধান অনুসারে কর্মসমিতির বৈঠকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রস্তাব আনা হয়। বুধবার কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে হতে চলা বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব পেশ ও পাশ করানো হবে। সেখানে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উল্লেখের সঙ্গে সঙ্গে দলের সাংগঠনিক ত্রুটির কথাও উল্লেখ থাকতে পারে। একই সঙ্গে কী ভাবে সেই ত্রুটি সংশোধন করে পরিস্থিতি নিজেদের অনুকুলে নেওয়া যায়, সে প্রস্তাবও থাকবে। এই মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চলছে। বিজেপি কর্মীদের উপরে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগেও সিবিআই তদন্ত চলছে। এ নিয়ে কী ভাবে দল প্রচারে থাকবে তারও উল্লেখ রয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
বিজেপি একটি অর্থনৈতিক প্রস্তাবও পেশ করবে বুধবার। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, খসড়া অর্থনৈতিক প্রস্তাবটি তৈরি করেছেন বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক রাজ্য সরকারের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির উল্লেখ খসড়া প্রস্তাবে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আদালতের নির্দেশের পরেও যে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না, সে কথারও উল্লেখ রয়েছে খসড়ায়।
নিয়ম অনুযায়ী, কর্মসমিতির বৈঠকে যে প্রস্তাব পাশ হয় তার উপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী এক বছরের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে বিজেপি। তাই বিজেপি শিবিরের একাংশ কী কী প্রস্তাব পাশ হয়, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তবে আর একটি অংশের বক্তব্য, এটা একেবারেই নিয়মমাফিক বিষয়। এক বছর আগেও অনেক কিছু প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের কতটুকুই বা পালন করা গিয়েছে!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।