বিদ্যাসাগর সেতুতে উঠতেই বাধা দেয় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
হাওড়া যেতে দেওয়া হবে না বলে আগেই সুকান্ত মজুমদারকে জানিয়েছিল পুলিশ। এর পরেও তিনি জোর করেই হাওড়ার পথে রওনা দেন। বার বার পুলিশ বাধা দিলেও তিনি কনভয় নিয়ে বিদ্যাসাগর সেতুতে পৌঁছে যান। আগে থেকেই টোল প্লাজার কাছে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে উত্তপ্ত হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু রওনা হওয়ার আগেই তাঁকে আটকে দিতে চায় পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে আনলেও পুলিশের বাধা টপকে সুকান্ত অশান্ত এলাকার দিকে এগোতে পারলেন না। অশান্তি বন্ধ করতে প্রশাসন যে কঠোর মনোভাব নেবে তা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সেই কঠোর মনোভাবই দেখাল পুলিশ। গ্রেফতার পরে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। ঘণ্টা চারেক থাকতে হয় তাঁকে। সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে বের হয়ে দলের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে রাজভবনে যান সুকান্ত।
সুকান্তকে বাড়ি থেকে বের হতেই দিতে চায়নি পুলিশ। এ নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মী এবং সুকান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শেষ পর্যন্ত দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ সুকান্ত জোর করেই নিউ টাউনের বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতাল এলাকা পার হয়ে বিদ্যাসাগর সেতুতে সুকান্তর কনভয় উঠতে গেলেই বাধা দেয় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন সুকান্ত। ফের গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু টোল প্লাজা যেতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুকান্ত ঠিক করেছিলেন, বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর নিউটউনের বাসভবন থেকে উলুবেড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ এসে জানায়, তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি-র বাড়ির সামনে মোতায়েন থাকে পুলিশ বাহিনী। সুকান্তের দাবি তাঁকে নিয়ম ভেঙে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি হাওড়া যেতে চাই। পুলিশ কোনও ভাবেই অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিশ দলদাসের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। হাওড়াতে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় যেতে দেবে না বলেছে। কিন্তু, হাওড়া থেকে আমার বাড়ি অনেক দূর। ১১টার সময় যখন আমি বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে গৃহবন্দি করে রাখা হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ কোনও আইনি কাগজ দেখাতে পারেনি।” সুকান্ত আরও জানিয়েছেন যে তিনি হাওড়া যাবেন না জানিয়ে মুচলেকা দিতে বলে পুলিশ। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। সুকান্তের কথায়, ‘‘আইনজীবীকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে। আমি ওকালতনামায় সই করে দিয়েছি।’’