৭ জানুয়ারি কলকাতায় আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ জানুয়ারি কলকাতায় আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। আর নরেন্দ্র মোদী আসতে পারেন ১৯ তারিখ। কথা ছিল, ৬ তারিখের মধ্যে পঞ্চায়েত সম্মেলন শেষ করে নড্ডাকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দলেরই একাংশের। ফলে, নড্ডার কাছে পেশ হতে চলেছে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির সদর দফতর ৬, মুরলীধর সেন লেনে পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে গড়া কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। স্থির হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে সাংগঠনিক কাজ শেষ করার ‘ডেড লাইন’ ইতিমধ্যে ‘মিস’ হয়েছে। দেরি না করে আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত সম্মেলন শেষ করে বুথভিত্তিক সম্পূর্ণ রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে নড্ডার কাছে। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির নির্দেশিকা হুবহু মেনে চললেও ওই দিনের মধ্যে ৬০%-এর বেশি পঞ্চায়েতে পৌঁছনো সম্ভব নয়। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই মাসটা পুরোটা সময় দিতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কিছুটা সময় আছে। পরের দিকে আমরা সভা-সমিতির কাজ শুরু করব।’’
তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর বসে থাকতে রাজি নন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও নড্ডা বছরভর রাজ্যে ৩৮টি সভা করবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। সেই কাজ ৭ তারিখ নড্ডার পূর্ব মেদিনীপুরে চণ্ডীপুরের জনসভা দিয়ে শুরু হচ্ছে। রাজ্যে ১৭ তারিখ আসার কথা শাহের। হুগলির আরামবাগ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে সভা করতে পারেন তিনি। মোদী রাজ্যে আসতে পারেন ১৯ তারিখ। ওই দিন তাঁর শিলিগুড়িতে জনসভা করার কথা। এর পরে ফের মার্চ মাসে রাজ্যে আসতে পারেন তিনি। তাঁর আগামী ১৩ মার্চ মতুয়া-অধ্যুষিত বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের কোনও একটিতে জনসভা করার কথা।
এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘যে হেতু এখনও রাজ্যের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তাই এখনই প্রত্যাশা নিয়ে কিছু বলব না। উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের জীবনযাত্রার সার্বিক মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট নজর রয়েছে, এটাই প্রাপ্তি।’’
তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ওঁরা এসে কী বলবেন? রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন আটকে রেখেছেন, পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাসের দাম কেন বাড়ছে, এই নিয়ে কথা বলবেন? বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। এ বার ওদের ফলাফল আরও খারাপ হবে!’’