রুদ্রনীল ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার এবং বৈশালী ডালমিয়া। —ফাইল চিত্র।
সংস্কৃতির দেবী যেমন সরস্বতী, তেমন ধনদৌলতের দেবী লক্ষ্মী। রাজ্য বিজেপিতে এ বার সেই সরস্বতী সামলাবেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান হয়েছেন। একই ভাবে লক্ষ্মী সামলাবেন বৈশালী ডালমিয়া। তিনি হয়েছেন বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক। শুক্রবার দলের ১৮টি শাখা কমিটি ঘোষণা করেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার মধ্যে দু’টি উল্লেখযোগ্য নাম রুদ্রনীল ও বৈশালী। দু’জনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। দু’জনেই দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন এবং বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। ভবানীপুর এবং বালি আসন থেকে পরাজিতও হন দু’জনেই।
রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে দিলীপ ঘোষ জমানার রাজ্য দলের সব শাখা (সেল) কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন সুকান্ত। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে সভাপতি হন সুকান্ত। আর শাখা কমিটিগুলি ভেঙে দিয়েছিলেন ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি। এর পরে রাজ্য বিজেপিতে পাঁচ মাস কোনও শাখা কমিটি ছিল না। অবশেষে তা ঘোষণা হল শুক্রবার। সেই সব কমিটির মধ্যে অর্থনীতি ও উদ্বাস্তু শাখার আহ্বায়ক হয়েছেন দুই বিধায়ক— বালুরঘাটের অশোক লাহিড়ী এবং হরিণঘাটার অসীম সরকার।
রুদ্রনীলের সাংস্কৃতিক শাখায় সহ-আহ্বায়ক হিসেবে জায়গা পেয়েছেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। এ ছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন চন্দ্রমণি শুক্ল। অর্জুন সিংহ ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্ল খুন হওয়ার পরে তাঁর বাবা চন্দ্রমণিকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ভোটে জিততে না পারলেও চিকিৎসক শাখার সহ-আহ্বায়ক হন তিনি। একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর আসনে পরাজিত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশ নায়েক হয়েছেন মৎস্যজীবী শাখার আহ্বায়ক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।