বৃষ্টি পড়ছে কার্শিয়াঙেও। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।
সকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সোমবার থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর হাওয়া অফিস। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টিও হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব আরও গাঢ় ভাবে দেখা দিল এ রাজ্যের উপরে। এ দিন বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদের দেখা নেই। আকাশের মুখ ভার হয়ে রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর এবং মালদহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিঙেও আকাশ অত্যন্ত মেঘলা হয়ে রয়েছে।
কিন্তু এই ভরা বসন্তে বৃষ্টি কেন? আলিপুর সূত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের উপরে যে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, তার জেরেই এই বৃষ্টিপাত। পুবালি এবং পশ্চিমী বাতাসের সংঘাতে আরও শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে জোলো বাতাস। এই দু’টি ঘটনার প্রভাবে আগামিকালও পাহাড় থেকে সমতলে চলবে বৃষ্টি। মেঘলা থাকবে আকাশ। মঙ্গল এবং বুধবার এই দুই দিন বর্জ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আলিপুর।
আরও পড়ুন: গর্জালেও বর্ষালেন না, ‘সম্প্রীতির’ প্রশংসায় ট্রাম্প
গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই বৃষ্টিপাতের জেরে গতকালের থেকে কলকাতার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।