নিজস্ব চিত্র।
আমপানের হামলা এখনও সামলে উঠতে পারেনি গাঙ্গেয় বঙ্গ। এরই মধ্যে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহবিদেরা জানান, আগামী শুক্রবার থেকে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ে উপকূলীয় এলাকার প্রচুর মানুষ গৃহহারা। অনেকের মাথার উপরে ছাদটুকু নেই। এই পরিস্থিতিতে ফের বৃষ্টি এলে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছেন অনেকে।
বস্তুত ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ডুয়ার্সে। বহু নদীর জলস্তর বেড়েছে। তবে গাঙ্গেয় বঙ্গে তেমন আশঙ্কা আপাতত নেই। বর্ষা আসতেও অন্তত সপ্তাহ দুয়েক দেরি রয়েছে। মৌসম ভবনের খবর, ৫ জুন নাগাদ কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে। তার পরেই বঙ্গে বর্ষা হাজির হওয়ার দিন বোঝা যাবে। বৃষ্টি আসার আগে মানুষকে উৎকণ্ঠায় রেখেছে ঝোড়ো হাওয়াও। গত ক’দিন ধরে ঝোড়ো হাওয়া যেন আর থামছেই না দক্ষিণবঙ্গে! আমপানের তাণ্ডবে এমনিতেই বিধ্বস্ত বঙ্গভূমি। তার পর থেকেও নাগাড়ে দমকা, ঝোড়ো হাওয়া বইছে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে। যা নিয়ে ফের ঝড় আসবে কি না, সে ব্যাপারে জল্পনা, গুজব ছড়াচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য বলছে, ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। প্রকৃতির নিজস্ব খেয়ালেই দমকা হাওয়া বইছে।
আরও পড়ুন: আমপান-ধ্বস্ত কবর জুড়ে মৃত গাছেরা
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তার উপরে পশ্চিমী জেলাগুলিতে তাপমাত্রাও বেশি রয়েছে। ওই দু’য়ের প্রভাবেই এমন ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আগামী শুক্রবার সেটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে নেমে আসতে পারে। তার ফলে দমকা হাওয়ার জোর কমলেও কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।