Monsoon

Weather forecast: বর্ষা বিদায়ে ভরসা উত্তুরে ঠান্ডা বাতাস

আগামী মঙ্গলবার থেকেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঠান্ডা বাতাসের কারিকুরি নজরে আসতে পারে এবং সেই ঠান্ডা হাওয়ার ধাক্কাতেই পাততাড়ি গোটাতে পারে বর্ষা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

অবশেষে শীতল উত্তুরে বাতাসের পদধ্বনি শুনতে পেয়েছে মৌসম ভবন। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে উত্তুরে হাওয়ার আগমনের পথও প্রশস্ত হচ্ছে। তার ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঠান্ডা বাতাসের কারিকুরি নজরে আসতে পারে এবং সেই ঠান্ডা হাওয়ার ধাক্কাতেই পাততাড়ি গোটাতে পারে বর্ষা। তবে এক ধাক্কায় সে পাততাড়ি গোটাবে নাকি ধাপে ধাপে বিদায় নেবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আবহবিজ্ঞানীদের মতে, যদি উত্তুরে হাওয়া খুব জোরালো হয় তা হলে দু-তিন দিনের মধ্যে গোটা দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। কিন্তু ধাক্কা যদি দুর্বল হয় তা হলে একটু বেশি সময় লাগবে।
অনেকেই অবশ্য আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় শাহিনের কথা বলছেন। ঘূর্ণিঝড় গুলাবের অবশিষ্টাংশ আরব সাগর পর্যন্ত গিয়েছিল এবং ফের শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। তবে শাহিনের দাপটে ভারতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। সেটি ওমান উপসাগরের দিকে যাচ্ছে বলে মৌসম ভবন জানিয়েছে।
কিন্তু বর্ষা বিদায় পালা সম্পূর্ণ হতে কত দিন সময় লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাঙালির প্রশ্ন, দুর্গাপুজোর আগেই কি বর্ষা রাজ্য থেকে বিদায় নেবে? প্রসঙ্গত, গত বছরই উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নিতে নিতে মধ্য ভারতে এসে আটকে গিয়েছিল। তার পর আচমকা এক ধাক্কায় মধ্য ভারত থেকে পূর্ব ভারত হয়ে দেশান্তরী হয়েছিল বর্ষা। রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছিল ২১ অক্টোবর। দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন। তবে এ বার যত ক্ষণ না উত্তুরে বাতাস ঢুকছে তত ক্ষণ এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই আবহবিদেরা জানিয়েছেন।
গাঙ্গেয় বঙ্গে যে আপাতত বৃষ্টির দাপট কমছে সে কথা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে আগামী দিন দুয়েক উত্তরবঙ্গে জোরালো বৃষ্টি মিলতে পারে। আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তরবঙ্গেও শুকনো আবহাওয়া মিলতে পারে বলে আবহবিদদের অনেকে মনে করছেন। বস্তুত, এ দিন থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশে শরতের ছোঁয়া মিলেছে। নীল আকাশ, সাদা তুলোর মতো মেঘ, খটখটে রোদ, গরম এবং মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া। কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে দু’এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আবহবিদদের অনেকে বলছেন, এমন বৃষ্টি শরৎকালের বৈশিষ্ট্য। যাকে চলতি ভাষায় ভাসা মেঘের বৃষ্টি বলে। রোদ, বাতাসে আর্দ্রতা এবং বায়ুমণ্ডলের দু’টি স্তরের ফলে তাপমাত্রার বেশি ফারাকে এমন হয়। আকাশের এই ভোলবদলে আশায় বুক বেঁধেছে বাঙালি। প্রশ্ন, গত বছরের মত এ বারও বোধনের আগেই বর্ষা দেশছাড়া হবে তো?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement