Weather Forecast

মেঘের স্বস্তি বা বৃষ্টির আরাম পেতে বুধবার

আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, ফের বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার জন্য দিন তিনেক অপেক্ষা করতে হবে। বুধবার নাগাদ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ০৭:২৩
Share:

বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার জন্য আরও দিন তিনেক অপেক্ষা করতে হবে। ফাইল চিত্র।

মোকার আঘাত সইতে হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরের ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলি। সে ভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়া না-বইলেও আকাশ মেঘলা ছিল। তার ফলে তাপমাত্রা সে ভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শনিবার ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোয়নি। স্বাভাবিকের থেকে তা ২ ডিগ্রি নীচেও ছিল। তবে এই স্বস্তি যে আপাতত মিলবে এমন নয়। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, ফের বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার জন্য দিন তিনেক অপেক্ষা করতে হবে। বুধবার নাগাদ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

Advertisement

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির পর থেকেই প্রমাদ গুণেছিল বাঙালি। স্মৃতিতে উস্কে উঠেছিল আমপান ও ইয়াসের হামলা। তবে এ বার মোকা তৈরির পরে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মোকা ক্রমশ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আজ, রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতাওয়ের কাছে তা ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে।

আবহবিদেরা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ-মায়ানমারের দিকে এগোতেই বঙ্গোপসাগর থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে। তার জেরেই এ দিন মেঘ তৈরি হয়েছে। জলীয় বাষ্পের অভাবেই গত কয়েক দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল গাঙ্গেয় বঙ্গে। এই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে এবং তার জেরে আগামী কয়েক দিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়তে পারে। তবে বাড়তি জলীয় বাষ্পের পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলেই গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হবে এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করবে। সাধারণত মে মাসে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ৪-৫টি কালবৈশাখী মেলার কথা। এখনও একটিও হয়নি। আগামী সপ্তাহে মে মাসের প্রথম কালবৈশাখী মিলতে পারে, এমন সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement