ধৃতদের বিরুদ্ধে ৯৩০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দেশ জুড়ে। —ফাইল চিত্র।
কলকাতায় ডিজিটাল অ্যারেস্টের তদন্তে নেমে চিরাগ কপূর ও যোগেশ দুয়া নামে দুই অভিযুক্তকে শুক্রবার নিজেদের হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। যদিও বিশেষ অভিযানে নেমে তাঁদের আগেই গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
গল্ফগ্রিনের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রতারণার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই মহিলা ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে খুইয়েছিলেন ৪৭ লক্ষ টাকা। সেই তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ১০৪টি পাস বুক, ৬১টি মোবাইল, ৩৩টি এটিএম কার্ড, দু’টি কিউআর কোড মেশিন, ১৪০টি সিম কার্ড, ৪০টি স্ট্যাম্প ও ১০টি চুক্তিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মোট আট জনকে।
অভিযান চালিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিরাগকে। তাঁকে জেরা করে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওঙ্কার সিংহ নামে আরও এক জনকে। সেই সূত্র ধরেই নাম উঠে এসেছিল যোগেশ ও আদিত্য দুয়ার। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি যোগেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যোগেশ যেখানে থাকতেন সেখানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল, দু’টি মোবাইল, একটি হার্ড ডিস্ক, একটি ল্যাপটপ, আটটি চেক বুক, আটটি এটিএম কার্ড, এক লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৯০ টাকা, দু’টি প্যান কার্ড, একাধিক আধার কার্ড, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও একাধিক চুক্তিপত্র।
সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে ৯৩০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দেশ জুড়ে। জানা গিয়েছে, এই চক্রের ‘মূল মাথা’ চিরাগের বাড়ি কলকাতায় হলেও তাঁরা চক্র কারবার চালাতেন দিল্লি ও বেঙ্গালুরু থেকেই। প্রধানত টার্গেট করা হত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরই।
যে হেতু বিরাট অঙ্কের প্রতারণা, তাই এই মামলা পরে হাতে নিয়েছিল ইডি। কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়া দুই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারভবনের নির্দেশে অবশেষে তাঁদের হেফাজতে পেল ইডি।