ফাইল চিত্র।
মেঘলা আকাশ এবং ঝড়বৃষ্টির মধ্য দিয়েই কার্যত প্রাক্-বর্ষার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। গাঙ্গেয় বঙ্গে আবহাওয়ার মতিগতি বিশ্লেষণ করে এমনই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। সোমবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তাতে কালবৈশাখী বা গ্রীষ্মের ঝড়বৃষ্টির চরিত্র ধরা পড়েনি। আবহবিদেরা জানান, কালবৈশাখী বা গ্রীষ্মের ঝড়বৃষ্টির ক্ষেত্রে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে আসে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া বয়ে আসছে না। স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। প্রাক্-বর্ষার কিছু লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে। ওড়িশা ও অন্ধ্রে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
নিম্নচাপ দানা বাঁধার খবর পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ‘ঘূর্ণিঝড়’ নিয়ে নানান খবর রটেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, নিম্নচাপটি শক্তিবৃদ্ধি করলেও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। তবে সাগরের জলের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ না-করতে পারলে উত্তরোত্তর ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়বে বলেই আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের ‘দিবেচা সেন্টার ফর ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ’-এর বিজ্ঞানী শ্রীনিবাসন জয়রামনের মতে, সাগরের জলের উষ্ণতা বেশি থাকলে তা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি করবেই।
আরও পড়ুন: অমিত শাহ অনলাইন আজ, প্রশ্ন মমতার, প্রতিবাদও
বস্তুত, সোমবার বিশ্ব মহাসাগর দিবসে সমুদ্রের উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু বদল আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে আমপান ও নিসর্গ তৈরির পিছনেও সাগরের জলের অতিরিক্ত উষ্ণতাকেই মূলত দায়ী করেছেন পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিরিয়োলজির বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথু কোল। আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, সাগরের জলের বাড়তি নিম্নচাপেরও শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। বিশ্ব মহাসাগর দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জ তাই পৃথিবীর সব সাগর ও মহাসাগরের দূষণ কমিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করার আর্জি জানিয়েছে। সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, সাগরের জলের উষ্ণায়নে সাগরের জীববৈচিত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।