মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাবা হাকিম। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলবন্দী পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফিরহাদ কন্যা সাবাকে তিনি পাশে থাকার বার্তা দেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য না করলেও সাবা জানান, মমতা তাঁকে আশাহত না হওয়ার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন এটা রাজনৈতিক লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততেই হবে।
নবান্ন থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম সেরে কলকাতায় ফেরার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের পরবর্তী গন্তব্য চেতলায় ফিরহাদের বাড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যখন সেখানে পৌঁছয় তখন বাড়িতে ছিলেন না ফিরহাদ-পত্নী রুবি হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন রুবি গিয়েছেন সিবিআইয়ের হেফাজতে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দী স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ছিলেন না ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। তিনি গিয়েছিলেন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে। তাই, প্রাক্তন মেয়রের মেজ মেয়ে সাবা হাকিমের সঙ্গে বাড়ির বাইরে দেখা করেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে সমবেদনা জানিয়ে ফিরহাদ কন্যার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মমতা। সাবা বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে আমাদের পরিবারের সদস্য এবং তিনি আমাদের নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, আশাহত না হতে। এই লড়াইকে তিনি রাজনৈতিক লড়াই বলেছেন। বলেছেন, এই লড়াই আমাদের জিততেই হবে।"
সিবিআই সোমবার সকালে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ ফিরহাদকে গ্রেফতার করে। নারদ-কাণ্ডে এই গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ফিরহাদ কন্যাকেই সেই রাজনৈতিক যুদ্ধে জয়ের আশা দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নবান্নে কলকাতার করোনা যুদ্ধে ফিরহাদের ভুমিকার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘কলকাতার মেয়র, যে সারাদিন কাজ করে বেড়ায়, সারাক্ষণ ফিল্ডে থেকে কাজ করে, সে গ্রেফতার হওয়ায় ৪ দিন ধরে কলকাতায় ভ্যাকসিনের কাজ, পরিষ্কারের কাজ আমরা অন্য ভাবে করছি। কিন্তু এক জনের বিকল্প আর এক জন হয় না।’’ আর সেদিন সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে গিয়ে হাকিম পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এলেন।