—প্রতীকী ছবি।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী একাদশ ও দ্বাদশের পাঠ্যক্রমকে চারটে সিমেস্টারে ভাগ করার কথা ঘোষণা করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বার যারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে তারা এই সিমেস্টার পদ্ধতিতেই একাদশ এবং দ্বাদশের পরীক্ষা দেবে। সিমেস্টার পদ্ধতির জন্য পাঠ্যক্রমেও বদল আসছে। আজ, বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করবে সংসদ। তবে তার আগে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, সিমেস্টার পদ্ধতি নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। তার ফলে নানা বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন শুধু শেষের দু’টি সিমেস্টার থেকেই হবে। বাকি দু’টি সিমেস্টার ফলাফলের ক্ষেত্রে গ্রাহ্য করা হবে না। শিক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, প্রথম দু’টি সিমেস্টারের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুলকে নিতে হবে। কিন্তু চারটি সিমেস্টার সংসদ না নিলে প্রত্যেকটি সিমেস্টার সমান গুরুত্ব পাবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “দুই বছরের পাঠ্যক্রমকে চারটি সিমেস্টারে ভাগ করলে তার চারটি সিমেস্টারই সংসদের তত্ত্বাবধানে হওয়া দরকার। চারটি সিমেস্টারে নম্বর একত্রিত করে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর ঠিক করা উচিত।”
একাদশ-দ্বাদশের পাঠ্যক্রমকে চার সিমেস্টারে ভাঙার কাজ শেষ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। শেষ লগ্নে তাড়াহুড়ো করে সেই কাজ করতে গেলে গোলমাল হবে। সে ক্ষেত্রে এক বছর পরে সিমেস্টার চালুর দাবিও উঠেছে শিক্ষকদের মধ্যে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “মাধ্যমিকের এক মাসের মধ্যে একাদশের পড়াশোনা শুরু হয়। এ বার সিলেবাস মেলেনি। তাই এখনও তা শুরু হয়নি।”