C V Ananda Bose

আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল, আচার্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

অস্থায়ী উপাচার্য নিয়ে হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য। নবান্নের দাবি, রাজ্যের শিক্ষা দফতর বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৪৩
Share:
A photograph of west bengal governor C V Ananda Bose

—ফাইল ছবি।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। নবান্নের বক্তব্য, রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা বৈধ নয়। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন আচার্য। যদিও কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এ বার তারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য প্রযুক্তি (ম্যাকাউট), কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, কাজী নজরুল, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য। ওই উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে দেয় শিক্ষা দফতর। রাজ্যের যুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না আচার্য। পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মেনে ওই নিয়োগ করা হয়নি। ওই উপাচার্যদের নিয়োগ বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন অধ্যাপক সনৎকুমার ঘোষ। গত ২৮ জুন হাই কোর্ট মামলা খারিজ করে আচার্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয় আদালত।

হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উপাচার্য পদের কোনও প্যানেল না পাঠিয়ে রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৭ জনের নাম পাঠিয়েছিলেন। ফলে আলোচনার পরিবেশ না থাকায় সিদ্ধান্ত নেন আচার্য। উচ্চ আদালত রাজ্যকে ওই উপাচার্যদের বেতন-সহ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন-নবান্নের বিরোধ থামছে না। হাই কোর্টের ওই রায়ের পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি এ নিয়ে আচার্যের ভূমিকার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement