গৌতম দেব (বাঁ দিকে), রাম চক্রবর্তী(ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
কলকাতার পুরভোটের মতোই শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগরের পুরভোটে জয়ের লক্ষ্যে দলের পুরনো দিনের নেতাদের উপরই আস্থা রাখল তৃণমূল। শিলিগুড়ির পুরভোটে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন গৌতম। তার পর তাঁকে শিলিগুড়ি পুরসভার পুর প্রশাসক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁকে টিকিট দেওয়ায়, তিনিই তৃণমূলের শিলিগুড়ির মেয়র পদপ্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের আর এক নেতা রঞ্জন সরকার। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন রঞ্জন শীল শর্মা। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন শিলিগুড়ি টাউন তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বেদব্রত দত্ত।
চন্দননগর পুরসভার ভোটে প্রাক্তন মেয়রের ওপরই আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী আবারও প্রার্থী হয়েছেন। সূত্রের খবর, চন্দননগরে তাঁর যোগ্য বিকল্প না পেয়ে, আবারও রামকেই সামনে রেখে লড়তে নামছে শাসকদল।
আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। অপর প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরভোটে প্রার্থী হতে চাননি। তাই এ বার আসানসোলে কোনও প্রাক্তন মেয়রকে টিকিট দেওয়ার সুযোগ ছিল না তৃণমূলের। বরং পশ্চিম বর্ধমানের এই শিল্পাঞ্চলের পুরভোটে অনেক বেশি নতুন মুখের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের ছাত্র রাজনীতির পরিচিত মুখ তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অশোক রুদ্রকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ফের একবার তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তিনি বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র পারিষদ ছিলেন।