প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের ময়দানে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ অব্যাহত। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার ভোট। ওই ভোটের প্রচারে মঙ্গলবার বর্ধমানে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে নির্বাচন কমিশন তৈরি আছে। বিজেপির বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন তুলে নিলে পুলিশ জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন জমা দিলে পুলিশ হুমকি দিচ্ছে। ভোটের দিন অত্যাচার-হিংসার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানুষকে বুথের পথে যেতে হবে।” তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগকে ‘পরাজিতের আর্তনাদ’ বলে কটাক্ষ করেছে।
বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি— এই চার পুর-নিগমের ভোটের ফল বেরিয়েছে সোমবার। চারটিতেই শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির। চারটি পুর-নিগম মিলিয়ে মোট ২২৬টি আসনে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে ৮২টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল। বাকি সব ক’টিতেই তারা তৃতীয় বা চতুর্থ।
বিজেপি নেতৃত্বের মতে, তৃণমূল, পুলিশ এবং কমিশনের অনৈতিক আক্রমণেই দলের এই ভরাডুবি। দিলীপ এ দিন বর্ধমানে ফের বলেন, “ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। চারিদিকে ভোট লুঠ হয়েছে। সে জন্য আমরা সব জায়গাতেই প্রতিবাদে নেমেছি।”
আসানসোলে তৃণমূলের ৮০-৯০% ভোট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলীপ বলেন, “এটা গণতন্ত্র? মলয় ঘটক মানুষের জয় বলে বিবৃতি দিচ্ছেন। মানুষ তো ভোটই দিতে পারল না। তা হলে আর তাদের জয় কী ভাবে হবে?”
বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির অবশ্য এই ফলের জন্য আঙুল তুলেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের দিকেই। আর তৃণমূল নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং জনবিচ্ছিন্নতাই বিজেপি-র এই ফলের কারণ। দিলীপের অভিযোগ, ১০৮টি পুরসভার ক্ষেত্রেও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় তৃণমূল বাধা দিয়েছে। মনোনয়ন জমা দিতে পারলে তা প্রত্যাহার করাতে পুলিশ চাপ দিয়েছে। এথন বিজেপি প্রার্থীরা প্রচারে বেরোলে তাঁদের জেলের ভয় দেখানো হচ্ছে।
দিলীপ-সহ বিজেপি নেতৃত্বের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূল
সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “জনবিরোধী বিজেপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে। তাই বিজেপি মিথ্যে দোষারোপের রাস্তা নিয়েছে। ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট চায়। এ বার আদালতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ভোটারের জন্যও আবেদন জানাক!’’