Left Front

Left-BJP: চন্দননগরের বামেরা দ্বিতীয়, তিনে বিজেপি

২০১৫ সালে তৃণমূল এই পুরসভার ক্ষমতা দখল করলেও কিছু দিন পর থেকেই নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গোলমাল শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হুগলির চন্দননগর পুরসভায় ফের বোর্ড গঠন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিজেপিকে পিছনে ঠেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।

Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে, তৃণমূল ৬২ হাজারের বেশি ভোট (৫৯.৪২%) পেয়েছে। বামেরা পেয়েছে ৩০ হাজারের কিছু বেশি ভোট (প্রায় ২৮%)। একটি আসনে তারা জিতেছে। আর বিজেপির প্রাপ্ত ভোট সাকুল্যে ১০ হাজার (১০%)। গতবার বিজেপির দখলে একটি আসন ছিল। এ বার সেটিও খুইয়েছে তারা।

২০১৫ সালে তৃণমূল এই পুরসভার ক্ষমতা দখল করলেও কিছু দিন পর থেকেই নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, ২০১৮ সালের অগস্টে পুরবোর্ড ভেঙে দেয় রাজ্য সরকার। এ নিয়ে এ বার বিরোধীদের যাবতীয় প্রচার অবশ্য জলে গেল। ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে (বিজেপি প্রার্থী মারা যাওয়ায় একটি ওয়ার্ডে ভোট হয়নি) ৩১টিতেই জিতে যান জোড়াফুল শিবিরের প্রার্থীরা।

Advertisement

গতবার বামেরা ৯টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। এ বার একটিতে (১৬ নম্বর)। কিন্তু গত বছরের বিধানসভা ভোটের নিরিখে এ বার তাদের প্রাপ্ত ভোট বেড়েছে। মোট চারটি ওয়ার্ডে বামেদের হারিয়ে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান সামান্য ভোটে। তৃতীয় হয়ে বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও বামেরা সে রাস্তায় হাঁটেনি। সিপিএমের চন্দননগর এরিয়া কমিটির সদস্য হীরালাল সিংহ বলেন, ‘‘এ বার ভোটে সন্ত্রাস হয়নি। মানুষ নিজেদের ভোট দিতে পেরেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কিছু প্রকল্পের কারণেই আমরা আমাদের ভোটব্যাঙ্ক অর্থাৎ গরিব, প্রান্তিক মানুষের ভরসার জায়গায় আসতে পারছি না। আমাদের রেড ভলান্টিয়াররা করোনার সময় মানুষের পাশে থেকেছেন। কিন্তু সরকারি প্রকল্পগুলির সুবাদে তৃণমূল সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement