আসন্ন ভোটও হতে চলেছে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করেই। স্বাভাবিক ভাবেই সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার দায়িত্ব পুরোটাই বর্তাবে কমিশনের উপরে। ফলে একাধিক নজরদারি থাকলে এই কাজে আরও কিছুটা সুবিধা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ আছে। এই অবস্থায় পুরভোটমুখী প্রতিটি জেলায় এক জন আইএএস অফিসারকে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার দায়দায়িত্ব কমিশনের উপরেই ছেড়েছে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গেই তাদের নির্দেশ, ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিতে হবে নিরপেক্ষ আইএএস অফিসারদেরও। সেই দিক থেকে কমিশনের এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং দার্জিলিঙে ১০৮টি পুরসভা-পিছু এক জন পর্যবেক্ষক এমনিতেই দায়িত্বে রয়েছেন। এই ২০টি জেলার জন্য ২০ জন আইএএস অফিসারকে এ বার বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হল। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দায়িত্বপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারেরা প্রত্যেকে নির্ধারিত জেলায় ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। পুর নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে ওই আমলারা সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন।
বিশেষ পর্যবেক্ষকদের ঠিক কী করতে হবে, তার সুনির্দিষ্ট নির্দেশ সম্পর্কে কেউ মুখ না-খুললেও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, জেলার সামগ্রিক নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। এক-একটি জেলায় একাধিক পুরসভার ভোট হবে। তাই তাঁদের সব ক’টির উপরেই নজর রাখতে হবে। সমন্বয় সাধনের কাজ করতে হবে প্রতিটি পুরসভায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও।
প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, আসন্ন ভোটও হতে চলেছে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করেই। স্বাভাবিক ভাবেই সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার দায়িত্ব পুরোটাই বর্তাবে কমিশনের উপরে। ফলে একাধিক নজরদারি থাকলে এই কাজে আরও কিছুটা সুবিধা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদের অস্তিত্ব থাকলেও পুরভোটে এমন পদ্ধতি কিছুটা অভিনব বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।