গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্ত কমিশন সংক্রান্ত নথিপত্র পাননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ফের টুইটারে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর দাবি, সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী এ বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
সোমবার রাজ্যপাল টুইটারে লিখেছেন, ‘সংবিধানের ১৬৭ ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ২৬ জুলাই, ২০২১-এ তদন্ত কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি এবং কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত নথি দিতে বাধ্য। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনও নথি দিতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে।’
গত শুক্রবার পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গড়া কমিশনের কার্যকলাপের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এখনও বিতর্কে ইতি টানতে রাজি নন। গত শুক্রবার শীর্ষ আদালত কমিশনের কাজ স্থগিতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও ফের রাজ্যের কাছে এ সংক্রান্ত নথি চেয়েছিলেন তিনি।
গত ২৬ জুলাই পেগাসাস-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়, এনকোয়্যারি অ্যাক্ট (১৯৫২)-এর আওতায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোকুরের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র গত ৬ ডিসেম্বর চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজভবন। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা রাজভবনে পাঠাতে ‘অনুরোধ’ করা হয়েছিল। রাজ্যপালের অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি।
প্রসঙ্গত, অতীতেও ধনখড় একাধিকবার সংবিধানের ১৬৭ ধারার উল্লেখ করে বলেছেন, রাজ্য সরকারের যাবতীয় কাজকর্ম তাঁকে জানানোটাই নিয়ম। এই প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ওই ধারায় যা বলা আছে তাতে, রাজ্যপাল শুধুমাত্র রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হলেও সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে তাঁকে অবগত করাটা মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।