রেড রোড। —ফাইল চিত্র।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন।’ তা নিয়ে এক দফা কঠোর সমালোচনা হয়েছে। পাল্টা ভাষ্যে আন্দোলনকারীদের সমর্থকেরা কেউ জানিয়েছেন, ‘উৎসবে ফিরব না’, কেউ একে বলেছেন ‘উৎ-শব’। এই আবহে রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি সেরে ফেলার পথে এক কদম এগোল রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সেই কর্মসূচির চূড়ান্ত রূপ দিতে দরপত্র প্রক্রিয়া (টেন্ডার) সম্পূর্ণ করার পথে নবান্ন। ১৫ অক্টোবর সেই কার্নিভাল হওয়ার কথা।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এর মধ্যে ‘কার্নিভালের’ টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলেছে নবান্ন। আধিকারিক মহলের দাবি, রেড রোডে কার্নিভালের পরিকাঠামো তৈরি, সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা ইত্যাদি থাকার কথা দরপত্রের আওতায়। প্রতিবছর নির্বাচিত কিছু পুজোকে এই কার্নিভালে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দেশ-বিদেশের অতিথিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয় কার্নিভালে।
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, আর জি কর কাণ্ডের পরে রাজ্য সরকারের বর্ধিত পুজো-অনুদান নিতে অস্বীকার করছে বিভিন্ন পুজো কমিটি। তবুও সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই। তিনি সে ক্ষেত্রে নতুন একাধিক আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছিলেন। মমতার বক্তব্য ছিল, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। দেশ-বিদেশের বহু অতিথি আসেন। এ বছরও সেই অতিথিদের কথা মাথায় রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ পর্যটন দফতরকে দিয়েছিলেন মমতা।
অভিজ্ঞ আধিকারিকদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, আর জি কর কাণ্ডের পরে টালা থানার কর্তা এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে শনিবার। এই আবহে কার্নিভালের প্রস্তুতির বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। তবে প্রশাসনিক একটি সূত্রের দাবি, যখন মমতা এই ঘোষণা করেছিলেন ও টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তখন আর জি করের ঘটনা ঘটেনি।