কমছে দাম। —প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে আরও কমে ৭১-৭২ ডলারে ঘোরাফেরা করছে অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) ব্যারেল। আর এক ধরনের ডব্লিউটিআই-এর দামও নেমেছে প্রায় ৬৮ ডলারে। ফলে তা কম দামে কেনার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। তবু দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামে তার ছাপ পড়ার প্রত্যাশা আগের থেকে অনেকটা কমেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। একাংশের মতে, বিশ্ব বাজারে সস্তা তেলের সুবিধা না পাওয়ার কারণ টাকার নিরিখে ডলারের চড়া দাম। যা রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির আমদানি খরচ কমতে দিচ্ছে না। অন্য অংশ অবশ্য আমজনতার সুবিধা না পাওয়ার কিছুটা দায় চাপাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণের উপর। দাবি করছে, এই কারণেই শত সমস্যার মধ্যেও শুধু ভোটের মুখে দাম কমে। কারও কারও মতে, তেলের দাম কমানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিশেষত বাজেটে বিপুল করছাড় ঘোষণার পরে কেন্দ্রের উৎপাদন শুল্ক কমানোর সুযোগও যেহেতু অনেকটা কমে। কারণ, ওই ছাড় খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
গত বছর এপ্রিলে বিশ্ব বাজারে তেল প্রায় ৯০ ডলার ছোঁয়ার পরে সেপ্টেম্বরে ৭০ ডলারে নামে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কিছুটা উঠেছিল। এখন আবার প্রায় ৭১-৭২ ডলার। তবে এর মধ্যেও ভারতে লোকসভা ভোটের আগে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম লিটারে ২ টাকা কমা ছাড়া তেমন বদল ঘটেনি।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘অশোধিত তেলের দাম একটি স্তরে ঘোরাফেরা করছে বটে। তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকাও ৮৬-৮৭-র স্তরে নেমেছে। ফলে হিসাব করে দেখতে হবে আখেরে লাভ না ক্ষতি হচ্ছে। দাম কমানোর জায়গা আছে কি না। কারণ, শোধনের খরচ মোটের উপর একই রয়েছে।’’ তবে তিনি এটাও মানছেন, বর্তমানে দেশে জ্বালানির দাম বদলের সঙ্গে বারবার রাজনৈতিক যোগ দেখছেন। দরকার পড়লে তেলের দাম বাড়বে, সুযোগ পেলেই কমবে— এই সমীকরণ মিলছে না। বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের অর্থনৈতিক ও ব্যাঙ্কিং কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্রও বলেন, ‘‘অশোধিত তেলের দাম কমা ভাল বিষয়। কিন্তু টাকার লাগাতার অবমূল্যায়নে তেল সংস্থাগুলির আমদানির খরচ বেশি পড়ছে হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। ফলে আপাতত দাম কমবে মনে হয় না।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে