টহল: ভবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য শহরে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বড় বা ছোট, ভোট যে-ধরনেরই হোক, বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় আসন্ন মিনি ভোটের সময় সব রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শুধু ভোটের জেলা নয়, সংলগ্ন জেলা প্রশাসনগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই দফায় মুর্শিদাবাদের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট এবং কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে ৩০ সেপ্টেম্বর। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বুধবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে আনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোভিড বিধির যথাযথ পালনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত বিধানসভা ভোটের আগে-পরে রাজনৈতিক নেতাদের উপরে হামলার নানা অভিযোগ উঠেছিল। কিছু দিন আগেও ব্যারাকপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ভোটের আগে এই সব ঘটনার কোনও পুনরাবৃত্তি চাইছে না নবান্ন।
নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোট-প্রস্তুতির বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা করেছে। কমিশনকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়েছে নবান্ন। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার দায় এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বর্তাবে রাজ্যের উপরে।
৩০ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে ভোট মুর্শিদাবাদের শমশেরগঞ্জ আর জঙ্গিপুরেও। তাই ওই সব কেন্দ্রের নিকটবর্তী সব জেলাকেও সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্য।
বোমা উদ্ধারের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে নবান্ন। বলা হয়েছে, বিশেষ কিছু এলাকায় পুলিশকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক নেতার উপরে যাতে হামলার ঘটনা না-ঘটে, সেই ব্যাপারে বাড়তি নজর রাখতে হবে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে মুর্শিদাবাদ কমিশনের বিশেষ নজরে। তিন কেন্দ্রের ভোটের জন্য ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে। বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতেই নিরাপত্তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে রাজ্য পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিব কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তাও দেন সংশ্লিষ্ট সব জেলাকে। সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।