করোনার প্রভাবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ বার কাউকে ফেল করানো হবে না। —ফাইল চিত্র।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই পরিস্থিতিতে চলতি শি্ক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকেই আর পুরনো ক্লাসে থাকতে হবে না। তাদের সকলকে পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ক্লাসগুলির পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে নবম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে পড়াশোনা চালানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় মার্চ মাস থেকেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। কাজেই পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এই শিক্ষাবর্ষে কাউকে এক ক্লাসে রাখতে চায় না। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক পড়ুয়াকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। ফেলের ব্যবস্থা থাকবে না। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যে শিক্ষা দফতদর বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পড়াশোনা অব্যাহত রাখা যায়। ইমেল-ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, এমনকি দূরদর্শনের মাধ্যমেও তা করা সম্ভব্য করা যায় কি না, তার চেষ্টা করছি। রাজ্য সরকারের অনুমোদনের পর, তা কার্যকর করা হবে।”
আরও পড়ুন: রাজ্যে সব মৃত্যু করোনায় নয়: মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই সমস্ত পড়ুয়াদের পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিবিএসই বোর্ড। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সরাসরি এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অন্য দিকে, সারা বছরের স্কুল টেস্ট বা প্রজেক্টের মতো অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নবম থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। বুধবার একটি বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিন থেকে ফিরেই পর পর ধর্মসভা, সংস্পর্শে কত জন? হিসেব নেই এখনও