প্রতীকী ছবি।
পাহাড়ে জিটিএ ভোট এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন ছাড়াও রবিবার রাজ্যের ছ’টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হল। গত পুরভোটের সময় দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড, চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভোট হল। অন্য দিকে, ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু ও পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হওয়ায় এই ২টি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে। ঝালদায় এ বার তপনের ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই আর এক ভাইপো মিঠুন কান্দু। তাঁকে সমর্থন করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। তৃণমূলের হয়ে লড়বেন জগন্নাথ রজক। এই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। পানিহাটিতে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটই হয়েছে এই ছ’টি ওয়ার্ডে। তবে উত্তর ২৪ পরগনায় ভাটপাড়া বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হয়েছে।
কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৭৩.১১ শতাংশ, দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ৭২.০৯ শতাংশ, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৯.৩৬ শতাংশ, ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৪.৪১ শতাংশ। অন্য দিকে, ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮০.৮৬ শতাংশ এবং এবং পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৮.৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভাটপাড়ার ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের খবর করতে এবং ছবি তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদের। অভিযোগ, একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের এক মহিলা সাংবাদিককেও মারধর করা হয়েছে। ভাটপাড়া সেন্ট্রাল স্কুলের ভোটকেন্দ্রে পরিচয়পত্র ছাড়া ঢোকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ওই বুথের বাইরে ঘোরাঘুরির জন্য এক জনকে আটকও করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রশাসনের মদতেই ভোট লুট হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্য দিকে, চন্দননগরের সারদা সাধন বিদ্যালয় ফর গার্লসের বুথে ভোটগ্রহণ শুরুর সময় সামান্য গন্ডগোল হয়েছিল বলে খবর। যার জেরে ১০ মিনিট মতো বন্ধও ছিল ভোটগ্রহণ।