শুক্রবার সকালে আমতা জয়পুর থানার কুলিয়া ঘাটে অস্বাভাবিক মাত্রায় জল বেড়ে যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মালবাজারের মাল নদীর বিপর্যয়ের পর এ বার আমতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্রোতে বিপদে পড়লেন হাজার হাজার হাজার বাসিন্দা। মালবাজারের ঘটনার মতো প্রাণহানি না হলেও মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে হাওড়ার আমতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে আচমকা জল বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা। ডিভিসি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে নদীর জল হঠাৎই বেড়ে যায় প্রশাসনের দাবি। জলের তোড়ে ভাঙে তিনটি বাঁশের সেতু। এর জেরে সকাল থেকেই আমতার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দীপাঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা। যদিও ওই দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আমতা জয়পুর থানার কুলিয়া ঘাটে অস্বাভাবিক মাত্রায় জল বেড়ে যায়। প্রবল জলস্রোতে মুণ্ডেশ্বরীর নদীর উপর কুলিয়া, গায়েনপাড়া এবং টাকিপাড়ায় বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে। এ ছাড়া, হুগলি জেলায় আর একটি বাঁশের সেতুও একই ভাবে ভেঙে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন আমতার ভাটোরা দীপাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। মুণ্ডেশ্বরী নদীতে প্রবল স্রোতের মধ্যেই নৌকাতে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত।
বিপর্যয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আমতার তৃণমূল বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থাকার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীর জল কমলেই দ্রুত সেতু মেরামতের কাজ করা হবে। খুব শীঘ্রই পাকাপাকি ভাবে সেতু বানানোর কাজ শুরু হবে।’’
প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে জলস্রোত বেড়ে যায়। ওই ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৩০ জন। এই ঘটনায় কারণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধেই আঙুল উঠেছে।