মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে। রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন মানস। ফাইল চিত্র
মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও চার রাজ্যের রাজ্যসভা আসনে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। রাজ্যে তিনটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ফলাফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। যার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরদিনই রাজ্যসভা ভোট হবে।
১০ মে মন্ত্রীপদে শপথ নেওয়ার আগে ৬ মে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মানস। সেই আসনেই ভোট হবে। মনোনয়নপর্ব চলবে ১৫-২২ সেপ্টেম্বর। স্ক্রুটিনির দিন ধার্য হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ সেপ্টেম্বর। ৪ অক্টোবর সকাল ন’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে বলে জানানো হয়েছে। ওইদিনই হবে গণনা। রাজ্যসভার ভোটের যাবতীয় কাজ ৬ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। মানস সবংয়ের বিধায়ক পদ ছেড়ে ২০১৭ সালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে আবারও সবং থেকে তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা। জিতে বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূলের রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দেন দিনেশ ত্রিবেদী। ওই আসনে অগস্টের ৯ তারিখে ভোট ঘোষণা করেছিল কমিশন। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী জহর সরকার ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায়, তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।এ বারও বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে মানসের ছেড়ে যাওয়া আসনে সহজেই জয় পাওয়া উচিত তৃণমূলের।
রাজ্যে পাঁচটি বিধানসভার উপনির্বাচন-সহ দু’টি আসনে ভোট বাকি ছিল। কোভিড সংক্রমণের কারণে দেশের ২৮টি কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বকেয়া থাকলেও, ভবানীপুরের উপনির্বাচন হচ্ছে মুখ্যসচিবের অনুরোধে। এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ১৩ অক্টোবর সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে নির্দিষ্ট সময় ভোট হয়নি বলে ভবানীপুর উপনির্বাচনের সঙ্গে ভোট হচ্ছে। প্রায় একইসঙ্গে মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যের রাজ্যসভার ভোটপর্ব। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রাজ্যসভার উপনির্বাচন হচ্ছে অসম, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে। মহারাষ্ট্রে ভোট হচ্ছে কংগ্রেস সাংসদ রাজীব সাতাবের মৃত্যুর কারণে। বাকি রাজ্যে উপনির্বাচন হচ্ছে সাংসদদের পদত্যাগের কারণে।