প্রতীকী ছবি
মিনিট দু’য়েকের একটি অডিয়ো ক্লিপ। তাকে ঘিরেই শনিবার সারা দিন তোলপাড় নদিয়ার রাজনৈতিক মহল।
যে মহিলাকে সেখানে টেলিফোনে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁর গলা শুনে অনেকেরই দাবি যে, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রত্না ঘোষ। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি।
সেখানে ওই মহিলা কণ্ঠ এক জনকে বলছেন, ‘‘এই যিশুটা না-হারলে কিন্তু আমি আর কিছু করতে পারব না।....সুজিত ওর জন্য দৌড়চ্ছে। টের পাবে ভোটের পর, বিজেপিরা যখন পেটাবে। তখন টের পাবে।’’ তাঁকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বিজেপি জিতছে। কোনও ভয় পাবি না। তোরা যা বলার বলে দিবি পাড়়ার লোককে। কোনও কিছু হলে ফোন করবি। আমি দেখে নেব।’’ শনিবার লোকের ফোনে ফোনে ঘুরেছে এই ক্লিপ।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার চাকদহ কেন্দ্রে রত্না ঘোষের পরিবর্তে শুভঙ্কর সিংহ ওরফে যিশুকে প্রার্থী করেছিল দল। যিশুর আরেকটি পরিচয়, তিনি রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শঙ্কর সিংহের ছেলে। যিশুকে দল প্রার্থী করায় অভিমানে ভোটের সময় প্রচারে না গিয়ে কার্যত বসে গিয়েছিলেন রত্না ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন যিশু। তাঁর বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির বঙ্কিম ঘোষ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই অডিও ক্লিপ নিয়ে জল্পনা আরও গাঢ় হয়েছে।
এ ব্যাপারে শনিবার রত্না ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এই এ বিষয়ে কিছু জানি না। এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। আর শুভঙ্কর সিংহ ওরফে যিশুর বক্তব্য, ‘‘মানুষ আমাকে ভোট দেয়নি। তাই আমি হেরে গিয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে এর জন্য দোষারোপ করব না। যাঁরা এই অডিয়ো ক্লিপ ছড়াচ্ছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। দলের একটা অনুশাসন আছে। সেটা মেনে চলা উচিত।’’ রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথায়, ‘‘এ সবের সত্যতা যাচাই করা উচিত।’’ আর যিশুর বিরুদ্ধে জয়ী বিজেপি-বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের কথায়, ‘‘এটা ওদের দলের বিষয়। আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’