—প্রতীকী ছবি।
আগে দম্পতির মন বুঝবেন। যা বলার তার পরেই বলবেন বীরভূমের জেলা জজ পার্থসারথি সেন।
স্বামী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তরুণী বধূ। মামলার সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানান, বৃহস্পতিবার দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক যুবককে পরামর্শ দেন, ‘শ্বশুরবাড়িতে তিন দিন জামাই আদরে থাকুন। ওই ক’টা দিন কোনও পুরানো বিবাদ নিয়ে আলোচনা নয়। একান্তে কাটান।’ তপনবাবুর কথায়, ‘‘মন বুঝে তার পরেই মামলার শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।’’
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত বছর নভেম্বরে বোলপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় স্কুল শিক্ষক, মল্লারপুরের বাসিন্দা এক যুবকের। শুরু থেকেই ছোটখাট গোলমাল ছিল। বিয়ের আট মাসের মাথায়, ৩০ অগস্ট মল্লারপুর থানায় স্বামী শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করেন বধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি। চলতি মাসের ১১ তারিখ সিউড়ি আদালতে জেলা জজের এজলাসে শুনানিতে এসেছিলেন শ্বশুর, শাশুড়ি। কিন্তু, নিজের আইনজীবী নিয়ে হাজির থেকে সেই আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন বধূ।
দু’পক্ষের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এ দিনও আদালতে যুযুধান দু’পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত ছিলেন। তার পরে দম্পতির সঙ্গে দুই আইনজীবীর একান্তে সঙ্গে কথা বলে মনে হয়, সম্পর্ক চিরতরে ভেঙে যাক সেটা বোধহয় কেউই মন থেকে চান না।
সরকারি আইনজীবীর কথায়, ‘‘সে কথা জানানো হয় বিচারককে। এর পরেই বিচারক ওই বধূকে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু, তিনি জানান ‘ভয়ে’ এখনই সেখানে যেতে চান না। তখন স্বামীকেই শ্বশুরবাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন বিচারক।’’
এই তিন দিনে কী কী হচ্ছে তা দেখে, সোমবার আগাম জামিনের শুনানি করবেন বিচারক বলে জানিয়েছেন তপনবাবু। ওই দম্পতি ও তাঁদের পরিজনদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, ওই স্কুল শিক্ষক বিচারকের নির্দেশ মেনে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন, সেটা জানা গিয়েছে।