IIT Kharagpur

ছাত্রকে উৎপীড়নের তত্ত্ব ওড়ায়নি পুলিশ

পুলিশের তরফে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রের দেহটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৭
Share:

মৃত ছাত্র অসমের বাসিন্দা। ফাইল চিত্র।

আত্মহত্যা, র‌্যাগিং, উৎপীড়ন, খুন, না, উৎপীড়নের পরিণামে মৃত্যু? খড়্গপুর আইআইটি-র এক পড়ুয়ার অপমৃত্যু ঘিরে এই সব প্রশ্নই উঠছে। এখনও পর্যন্ত রহস্যমোচন না-হলেও ওই ছাত্রকে উৎপীড়নের বিষয়টিকে প্রাথমিক ভাবে মান্যতা দিল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের তরফে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রের দেহটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। কিছু ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে তা বোঝা যেতে পারে। তবে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের একটি রিপোর্টও জমা দেন সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট আপাতত প্রকাশ্যে আনতে পুলিশ এবং মৃতের পরিবারের কৌঁসুলিদের নিষেধ করেছেন বিচারপতি।

বিচারপতির মান্থা এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুরহস্যের গভীরে যেতে হবে পুলিশকে। নির্দিষ্ট কারণ জানার আগে পর্যন্ত তদন্তের উপরে হাই কোর্টের নজরদারি বজায় থাকবে। তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ১৭ নভেম্বর ফের পুলিশকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আইআইটি-র তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফয়জ়ান আহমেদের পচাগলা দেহ পাওয়া গিয়েছিল হস্টেলের ঘরে। সেই অপমৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। ফয়জ়ানের পরিবারের অভিযোগ, উৎপীড়ন চালিয়ে খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। সেই মামলাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি-র রিপোর্ট তলব করেছিল কোর্ট। রিপোর্ট জমা পড়ার পরে আইআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এমন ঘটনা নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এ দিন পুলিশ জানায়, ১৪ অক্টোবর ফয়জ়ানের এক সহপাঠী হাসপাতাল থেকে হস্টেলে ফিরে বন্ধুর দেহ শনাক্ত করেন। তার ভিত্তিতে ফয়জ়ানের পরিবারের আইনজীবী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও নীলাদ্রিশেখর ঘোষ প্রশ্ন করেন, দেহ দেখার পরে ওই পড়ুয়া সেই দিনেই আইআইটি ছেড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন কেন? দেহ শনাক্তকারীর আইনি দায়িত্ব থাকে। কোনও ঘটনা আড়াল করতেই ওই পড়ুয়াকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল কি না, কার্যত সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

পরে আদালতের বাইরে নীলাদ্রিশেখর জানান, উৎপীড়নের সঙ্গে মৃত্যুর যোগ থাকতে পারে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। যে-হেতু মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাই খুনের পাশাপাশি উৎপীড়নের ফলে ফয়জ়ান আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন কি না, উঠছে সেই প্রশ্নটিও। ওই আইনজীবী জানান, বিচারপতি এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তে সরাসরি যুক্ত থাকতে বলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement