বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফাইল চিত্র।
প্রস্তুতি ও পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। দ্বিতীয় বন্দে ভারত কবে পাবে বঙ্গ, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যে শোনা যাচ্ছে, পুরোপুরি এ রাজ্যের মধ্যে না-হলেও কয়েক মাসের মধ্যে হাওড়া-বারাণসী রুটে ছুটতে পারে ওই ট্রেন। পর্যটন ছাড়াও বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণে ওই ট্রেন চালু হতে পারে বলে রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর। রেলের দাবি, ওই ট্রেন চালু হয়ে গেলে হাওড়া ও বারাণসীর মধ্যে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে লাগবে মাত্র ছ’ঘণ্টা।
হাওড়া-নয়াদিল্লি রুটে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। দুর্ঘটনা ঠেকাতে ওই রুটেই ‘কবচ’ প্রযুক্তি বসানোর কাজও চলছে। কয়েক মাসের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ হলে বারাণসী ও হাওড়ার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৫০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি গতিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটতে পারবে বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। বারাণসী থেকে মোগলসরাই, ধানবাদ হয়ে হাওড়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে ওই রুট।
মুম্বই-আমদাবাদের মধ্যে হাইস্পিড রেল প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে। এ ছাড়াও দেশের অন্য যে-সব পথে হাইস্পিড রেল প্রকল্প নির্মাণের জন্য রেল মন্ত্রক সমীক্ষা শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে, তার মধ্যে বারাণসী-নয়াদিল্লি এবং বারাণসী-হাওড়াও রয়েছে। ফলে গুরুত্বের নিরিখে হাওড়া থেকে বারাণসী হয়ে নয়াদিল্লি পর্যন্ত দ্রুতগামী ট্রেন চালানো এখন রেলের কাছে বিশেষ অগ্রাধিকার। বিশেষ করে বারাণসী যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র।
রাজ্যে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায় হাওড়া-পুরী এবং হাওড়া-রাঁচী রুটে ওই ট্রেন চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে কবে সেই ট্রেন চালু হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
এক রেলকর্তা বলেন, ‘‘কোন রুটে কখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে, বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তার অগ্রাধিকার চূড়ান্ত করছে রেল মন্ত্রক। তাদের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য।’’ সে-দিক থেকেই বারাণসী-হাওড়া রুটের পাল্লা ভারী বলে ইঙ্গিত মিলছে।