সোমবার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা ও হাওড়ার শহরের দূষণ নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। শহরের ফুটপাথের দোকান থেকে ধোঁয়া দূষণ বাড়াচ্ছে শহর জুড়ে। সম্প্রতি এমন রিপোর্ট হাতে আসায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। একই সঙ্গে আবাসন তৈরির নির্মাণ সামগ্রী থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা।
সোমবার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে ছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সভাপতি কল্যাণ রুদ্র, মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার-সহ পরিবেশ দফতরের সচিবেরা। সঙ্গে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক, রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কলকাতা পুলিশ দু’পক্ষই দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়িগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের ১০০ ডায়ালের মতো কোনও ডায়াল বা এসএমএস হেল্পলাইনের তৈরি হবে। শহরের যত্রতত্র আগুন জ্বালানো যাবে না।
কলকাতার বস্তিগুলিতে এখনও অনেকেই কাঠের উনুন জ্বালিয়ে রান্না করেন। কলকাতা শহরের দূষণের জন্য এই বিষয়টিও নজরে এসেছে পুরসভার। তাই বস্তিবাসী ১৬টি পরিবারকে ধোঁয়াহীন চুলা উপহার দেওয়া হবে। মোট ১৫০০ জনকে এই ‘স্মোকলেস চুলা’ দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার মতে, এতে কলকাতার বায়ু দূষণ কমবে। ফলে কলকাতা শহরে যেখানে ঘন জনবসতি রয়েছে সেখানে বস্তিবাসী মানুষজনের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
মেয়র বলেন, ‘‘কী করে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার ভাবনাচিন্তা ও পরিকল্পনা চলছে। শীতকালের ঠান্ডা বাতাস আসে হাওড়ার দিক থেকে। সেই বাতাসে দূষিত ধূলিকণা আসছে কলকাতা শহরে। ভ্যানো গাড়ি, বিশেষ করে নিউটাউনে রাজারহাটে। অনেক ভ্যানো গাড়ি কাটা তেল দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। এর ফলে দূষণ বাড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে বলেছি সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক কারখানায় তৈরি হলেই বিশেষ এলার্ম বাজবে পর্ষদ অফিসে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’