ফাইল চিত্র ।
রায় ঘোষণা হল এসএসসি-র নিয়োগে দুর্নীতি মামলার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চও বাগ কমিটির রিপোর্টকেই মান্যতা দিল। রায়ে জানানো হয়েছে, সিবিআই এই মামলাগুলির তদন্ত করবে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে বলে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই। এমনকি, বিতর্কিত ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ করা বা ফেরত দিতে বলার সিদ্ধান্তেও কোনও ভুল নেই।
এসএসসি-র গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মোট সাতটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। তবে পরে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাগুলি স্থগিত হয়ে যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির অনুসন্ধান করে। বাগ কমিটি ডিভিশন বেঞ্চে স্কুলে গ্ৰুপ-সি এবং গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় রিপোর্ট পেশ করে। বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, গ্ৰুপ-সি পদে ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা পাশ করেননি। বাগ কমিটি ডিভিশন বেঞ্চকে এ-ও জানায়, গ্ৰুপ-ডি পদেও বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে ৬২৪ জনকে।
নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এই নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। কাউকে রেয়াত নয়, সিবিআই চাইলে যে কোনও সামাজিক পদমর্যাদা সম্পন্ন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেও সাফ জানিয়েছিল আদালত।