রাজপথে ধর্না শেষে মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল সিপিএমের মহিলা সমিতির। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনো, দফায় দফায় বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধের জেরে গ্রেফতার করা হল দেড়শোর বেশি মহিলা কর্মী-সমর্থকদের। সিপিএমের অভিযোগ, পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলি সমিতির মিছিল মোকাবিলার নামে ‘নির্যাতন’ চালানো হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাজ্যে নারী নির্যাতন ও পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্মতলায় দু’দিনের ধর্না-অবস্থানের ডাক দিয়েছিল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। রাতভর অবস্থানের পর বুধবার ধর্নায় হাজির থাকার কথা ছিল সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাটের। তবে ব্যক্তিহত কারণে তিনি আসতে পারেননি। দুপুরে ধর্না শেষে মহিলা মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আটকায় পুলিশ। তাদের নজর এড়িয়ে অন্য লেন পেরিয়ে এক দল মহিলা কর্মী-সমর্থক বিধানসভার দিকে এগোতে যান। তখন মহিলা পুলিশের সংখ্যা তুলনায় কম ছিল। রেড রোডে নেতাজি মূর্তির অদূরে মহিলা মিছিল ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আরও মহিলা পুলিশ এনে ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কনীনিকা ঘোষ, মিনতি ঘোষ-সহ মহিলা সমিতির নেত্রীদেরও গ্রেফতার করা হয়।
তার পরেই এক দল মহিলা কর্মী-সমর্থক রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মুখে জড়ো হয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে তখন তাঁদের আর এক দফা ধস্তাধস্তি বাধে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। ধৃতদের পাশে দাঁড়াতে রানি রাসমণি ও লালবাজারে গিয়েছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তীরা। বামেদের দাবি, ১৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, সংখ্যাটা ১৫১।