—প্রতীকী ছবি।
স্কুলের পাশেই আমবাগান। মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা শুরুর একটু আগে থেকেই সেখানে বেশ কয়েক জনের ভিড় দেখা যাচ্ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে সেখান থেকেই গুটিগুটি পায়ে কয়েক জন বেরিয়ে আসেন। তারপরে দু’এক জনকে দেখা যায় দৌড়ে গিয়ে স্কুলের বাইরের দিকের দেওয়ালের জলের পাইপ, কার্নিস ধরে উপরে উঠে পড়তে। তাঁদের হাতে ছিল কাগজের টুকরো। দোতলার জানলা দিয়ে সেই কাগজ কারও হাতে দিচ্ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার মালদহের মানিকচকের কালিন্দ্রী হাইস্কুলে সেই কাণ্ড পুলিশের চোখে পড়ে। পুলিশকর্মীরা গিয়ে এক জনকে ধরে ফেলেন। তত ক্ষণে স্কুলের চত্বরে আরও বেশ কয়েক জন চলে এসেছেন। পুলিশকর্মীরা তাঁদেরও তাড়া করলে শুরু হয়ে যায় তুলকালাম।
পুলিশের উপর চড়াও হন অনেকে। পুলিশকর্মীদের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। মানিকচক থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে যায়। অভিযোগ, সে সময় পুলিশ লাঠিও চালায়। পরীক্ষা তখন চলছে। তার মধ্যেই উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুলের আশপাশের এলাকা। অন্তত চার জন পুলিশকর্মী-সহ কমপক্ষে ১২ জন জখম হন। ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। লাঠি চালানোর প্রতিবাদে স্কুলের সামনে আধ ঘণ্টা ধরে মালদহ-চাঁচল রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একাংশ।
পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। কালিন্দ্রী হাইস্কুলে ব্লকেরই এনায়েতপুর হাইস্কুল ও এনায়েতপুর ইএ হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার আসন পড়েছিল। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপসকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরীক্ষায় কোনও সমস্যা হয়নি। যা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে। তার কোনও প্রভাব পরীক্ষায় পড়েনি।’’