ফাইল ছবি
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে বিজেপির সভার আগেই অশান্তি বাধল কাঁথিতে। বাজপেয়ীর ছবি দেওয়া ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্ররোচিত করে দলীয় কর্মীদের মার খাইয়েছেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
শনিবার বিকেলে কাঁথি শহরের ডরমেটরি ময়দানে বিজেপির ‘সুশাসন দিবসে’র সভা অবশ্য যথারীতি হয়েছে। সেই মঞ্চ থেকে দলীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস ছাড়ার পরে ১৯৯৮ সালে দিশাহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্রয় দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁর ছবি দেওয়া ব্যানারই এখন ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ অটলজি বলতেন, রাজনীতিতে সবাই কখনও একই ব্যানারের নীচে থাকে না। বিরোধী রাজনীতির লোককে প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতে হয়। কখনওই শত্রু ভাবতে নেই।’’ তৃণমূলের কাঁথি জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতির পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পতাকা এবং ব্যানার ছেঁড়ার মিথ্যা অভিযোগ বিজেপি বরাবর করছে। তবে দিব্যেন্দুবাবু দলের সাংসদ হয়েও কর্মীদের সঙ্গে যা করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’
গোলমালের শুরু শুক্রবার রাতে। বিজেপির পতাকা, ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ নিয়ে প্রথমে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে এক প্রস্ত গোলমাল হয়। তার পরে দিব্যেন্দুর সঙ্গে কাঁথি শহরের জুনপুট বাসস্ট্যান্ড মোড়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। দিব্যেন্দুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা অশ্লীল গালিগালাজ করছিল।’’ দিব্যেন্দু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এ ভাবে ব্যবহার করা লজ্জাজনক।
এ দিনের সভায় শুভেন্দু অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই আসন্ন পুরভোট করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বার্তা, ‘‘যাঁরা ভাবছেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না, তাঁদের বলি, নিশ্চিন্তে থাকুন। সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে বলেছে আদালত। এর পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’