সিএএ নিয়ে বড় দাবি শান্তনু ঠাকুরের! —ফাইল চিত্র।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবার তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন এলেই বিজেপি নেতারা সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) নিয়ে যে ধুয়ো তোলেন, তা আর চলবে না। যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক বলে ফের জানিয়ে দিলেন শশী।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির নিশ্চিন্তপুরে সভায় গিয়েছিলেন শান্তনু। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন (এ দেশে), তাঁদের নাগরিকত্ব দরকার। কারণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই, আমাদের যখন খুশি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বার করে দেয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করবে।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবরই সিএএ প্রসঙ্গে দাবি করে আসছেন, যে নাগরিকেরা ভোট দেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, তাঁরাই এ দেশের নাগরিক। শান্তনুর প্রশ্ন, যাঁরাই এ দেশে এসেছেন, ভোট দেন, আধার কার্ড আছে— তাঁরাই যদি নাগরিক হন তা হলে পাসপোর্টের তদন্তের জন্য ডিআইবি কেন ১৯৭১ সালের আগের দলিল চাইছে? শান্তনুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শশী বলেন, ‘‘আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, সিএএ অবশ্যই হবে। তাঁর নাকি আত্মবিশ্বাস আছে। আসলে তাঁরই আত্মবিশ্বাস নেই।’’ মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সিএএ-র প্রয়োজন নেই। সিএএ বাংলায় হবে না। যাঁদেরকে ওঁরা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক। তাঁকে রেশন পাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন, সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সুখে আছেন, শান্তিতে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিবার নির্বাচন এলেই যদি আপনি মনে করেন, সিএএ তুলে আলোড়ন তৈরি করবেন, অরাজকতা তৈরি করবেন। সেটা আর হবে না। বাংলার মানুষ এ সবে আর বিশ্বাস করবেন না।’’