ফাইল চিত্র।
আদিবাসী, তফসিলি জাতি-জনজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কল্যাণে ১,৩৮,৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের টানাপড়েনে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে তা আদৌ পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে এখানকার আদিবাসী-মূলবাসীদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও হতাশ রেল বাজেটে জঙ্গলমহলের ভাগ্যে কার্যত কিছুই না-মেলায়।
গত লোকসভায় জিতে ঝাড়গ্রামে সাংসদ হয়েছেন বিজেপির কুনার হেমব্রম। ঝাড়গ্রামের রেল সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে দাবিসনদও দিয়েছেন কুনার। কুনারের ভোটপ্রচারে এসে ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশা পর্যন্ত রেলপথের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্মলা। বাজেটে সে সবের উল্লেখ না-থাকায় অবাক জঙ্গলমহল। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিন টুডু বলেন, ‘‘কেন্দ্র ইতিপূর্বে আদিবাসী উন্নয়নে যে সব ঘোষণা করেছে, তার কিছুই এ রাজ্যে চোখে পড়েনি। ফলে, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের সুবিধা রাজ্যে মিলবে এমন আশা দেখছি না।’’
লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলাই নায়েকের আবার বক্তব্য, ‘‘দুই জেলায় সদ্য লোধা সেল চালু হয়েছে। আমরা চাইব কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা রাজ্যের মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলার লোধা-শবর-সহ পিছিয়ে থাকা জনজাতির উন্নয়নে খরচ হোক।’’ আর পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘কেন্দ্র আগে রাজ্যকে কতটা বরাদ্দ দেয় দেখি, তার পরে বলা যাবে কার কতটা উন্নয়ন হবে।’’
ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার বলছেন, ‘‘কেন্দ্র আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান-সহ সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। কিন্তু ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিকে সরকারি ভাবে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। এর ফলে আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প জঙ্গলমহলে রূপায়িত হচ্ছে না।’’