প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রাদুর্ভাবে পঠনপাঠনের ক্ষতি তো এ বার হয়েছেই। সেই সঙ্গে সময় কমেছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে। এই অবস্থায় ইউজিসি-র সবিস্তার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পরবর্তী দু’টি শিক্ষাবর্ষে সপ্তাহে ছ’দিন ক্লাস নেওয়া হোক। শিক্ষাবর্ষ দেরিতে শুরু হওয়ার ঘাটতি মিটিয়ে যথাসময়ে ফল ঘোষণার জন্য ওই দুই শিক্ষাবর্ষেই লম্বা ছুটিগুলি কমিয়ে দেওয়া হোক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাল, রবিবার উপাচার্যদের বৈঠক ডেকেছেন।
রাজ্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্তের বক্তব্য, শিক্ষকেরা সপ্তাহে ছ’দিনই কাজ করেন। প্রস্তুতির জন্য সপ্তাহে এক দিন ছুটি (পি-ডে) মেলে। করোনার জন্য পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের যে-ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে দিতে শিক্ষকেরা আশা করি প্রস্তুতি-ছুটিতে ক্লাস নিতে আপত্তি করবেন না। রাজ্য সরকার লম্বা ছুটি কমিয়ে দিতে চাইলে বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে তাঁরা নিশ্চয়ই যথাসম্ভব সহযোগিতা করবেন।
তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওয়েবকুপা-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, ‘‘অন্য রাজ্যে শনি-রবিবার কলেজ বন্ধ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহে ছ’দিনই ক্লাস হয়। ‘পি-ডে’ ছুটি হিসেবে গণ্য হয় না।’’ গরম বা পুজোর ছুটি কমানোর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, এটা রাজ্য ঠিক করবে। তার আগে তো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। এখন অনলাইনে ক্লাস চলছে। প্রথম বর্ষে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের ক্লাস আপাতত চলবে অনলাইনেই।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জানাচ্ছে, সেখানে অনেক বিভাগেই ছ’দিন ক্লাস হয়। নতুন করে ক্লাস বাড়ানোর উপায় নেই। ওখানে গরমের ছুটি থাকে না। পুজোয় ছুটি থাকে মাত্র ১০ দিন। ওই সমিতির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে হস্তক্ষেপ করে চলেছে ইউজিসি।