শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল ছবি।
এক দিনে জোড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল পাশ হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। মঙ্গলবার দু’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল আনা হয় বিধানসভায়। ‘দ্য রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইউনির্ভাসিটি বিল ২০২৪’ এবং ‘রামকৃষ্ণ পরমহংস ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪’ অধিবেশনে পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এই বিল দু’টি আলোচনা করতে গিয়ে বেশ কিছু সংশোধনী আনেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর তরফ থেকে মোট ৬৪টি সংশোধনী আনা হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হবে আগামী বছর জুলাই মাস থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দু’টির পরিদর্শক হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির জন্য ১৯৯৯ সাল থেকে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বারংবার শিক্ষা দফতরে আবেদন করেছিল। ২০১৮ সালে শেষ বার আবেদন করলে, তাতে সাড়া দেয় শিক্ষা দফতর। প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জায়গাটি খতিয়ে দেখে আসেন শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ছাড়পত্র দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই বিল পাশ হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বিল পাশ উপলক্ষে বিধানসভায় এসেছিলেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সন্ন্যাসীরা। এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে ধন্যবাদ দেন তাঁরা।
অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের আনা সংশোধনীতে বলা হয় প্রস্তাবিত বিলে টেগোরের বদলে ঠাকুর করা হোক। এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি কয়েক দিন আগেই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই ‘দ্য রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইউনির্ভাসিটি বিল ২০২৪’-এ টেগোরের বদলে ‘দ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪’ করা হোক। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘টেগোর’ শব্দের মধ্যে একটা উপনিবেশিক বিষয় রয়েছে। বিলের উপর জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিষয়টির সঙ্গে সহমত হন। তিনি বলেন, ‘‘টেগোরের জায়গায় ঠাকুর করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য আমিও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জানাব।’’ এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি হবে হুগলি জেলার ধনেখালিতে। এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে কালিপদ সাহা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।