Caesarean delivery

প্রসবের ক্ষেত্রে কেন জরুরি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার, জানাতে হবে চিকিৎসককে, দাবি তৃণমূল বিধায়কের

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর মতে, ২০১১ সালের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমন উন্নত হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। সন্তান প্রসব করার ক্ষেত্রে তাদের সঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সুষ্ঠু ভাবে প্রসব করানো হয় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে না শিশু। অনেক ক্ষেত্রেই সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করছেন বেশির ভাগ প্রসূতি। তাই এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি। মঙ্গলবার বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি। তাঁর দাবি, সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের আগে পরিবারের কাছে চিকিৎসককে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন ওই অস্ত্রোপচার জরুরি। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু করার দাবি তোলেন তিনি।

Advertisement

বিধায়ক আলির এমন মন্তব্যের জবাব দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রসব কোন পদ্ধতিতে হবে, তা সরকার ঠিক করে দিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। প্রসবের সময় চিকিৎসক যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।’’ চন্দ্রিমা আরও বলেন, ‘‘বিদেশে এখন আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রসব হচ্ছে না। বহু উন্নত দেশেও সিজারিয়ান অপারেশন করে প্রসব করা হচ্ছে।’’ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর মতে, ২০১১ সালের পর রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমন উন্নত হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের সুষ্ঠু ভাবে প্রসব করানো হয় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে। তাই এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে বা জবাবদিহি চাইতে পারে না সরকার।

পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল বিধায়ক আলি বলেন, ‘‘আমি সব দেশের কথা বলতে পারব না। কিন্তু আমি জানি আমেরিকায় প্রসব করার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে, কেন সিজারিয়ান পদ্ধতিতে অপারেশন হবে, সে কথা আগে চিকিৎসকেরা প্রসূতির পরিবারকে জানিয়ে দেন। এর ফলে দু’পক্ষেরই সুবিধা হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement